গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে আটটি প্রশ্ন ছিল সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর জন্য। কিন্তু তিনি আসবেন না বলে আগেই অধ্যক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী বিধায়করা তা আগাম জানতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফলে প্রশ্নোত্তর পর্বের একঘণ্টার মধ্যে ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় দমকল নিয়ে ১৮ জন বিধায়কের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী সুজিত বসু। বাকি সময়ে অন্যান্য প্রশ্নের জবাব দেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারের প্রশ্নের জবাবে সুজিত বসু বলেন, ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ড হলে তা নেভানোর জন্য ২০১৩ সালে মোটরবাইক ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়। সেই আর্থিক বর্ষে ২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা খরচ করে ৩৬টি মোটরবাইক কেনা হয়। ২০১৭-’১৮ সালে সাত কোটি টাকা খরচ করে ১০০টি মোটরবাইক কেনা হয়েছে। বর্তমান আর্থিক বর্ষে ৮ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কেনা হচ্ছে আরও ১০০টি মোটরবাইক। সেই বাইকের এক দিকে ১৫ লিটার ফোম এবং অন্যদিকে ১৫ লিটার জল রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নে সুজিত বসু বলেন, ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যে ১০৮টি দমকল কেন্দ্র ছিল। গত আট বছরে আরও ৩৪টি দমকল কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে আরও ১৬টি তৈরির কাজ চলছে। যার মধ্যে চারটি দমকল কেন্দ্রের কাজ শেষ পর্যায়ে। সেগুলি হল কোচবিহারের বক্সিরহাট, গোয়ালপোখর, সাঁইথিয়া এবং পুজালি। শুধু দমকল কেন্দ্র তৈরি করলেই হয় না, সেখানে কর্মীরও ব্যবস্থা করতে হয়। আমাদের লক্ষ্য, আগুন লাগার খবর পাওয়ামাত্র দ্রুত দমকলের গাড়ি নিয়ে সেখানে যাওয়া। দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, বছর খানেক ধরে দেরিতে দমকল পৌঁছেছে, এমন অভিযোগ কেউ করতে পারবেন না। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়া যায়, তার জন্য কন্ট্রোল রুম আধুনিক করা হচ্ছে।
তৃণমূল বিধায়ক রহিমা বিবির প্রশ্নের জবাবে দমকলমন্ত্রী বলেন, দেগঙ্গায় জমি নিয়ে সমস্যা আছে। চাহিদা অনুযায়ী জমি দিতে জেলাশাসককে অনুরোধ করেছি। সুজিত বসুর প্রশংসা করে কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, আপনি ভালো কাজ করছেন। বহরমপুর ও জলঙ্গির মাঝে ডোমকলে একটি দমকল কেন্দ্র করার দাবি জানান তিনি। সুজিত বসু বলেন, ডোমকলে তো কয়েকদিন আগেই দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন হল। এনিয়ে অধিবেশনে হাসির রোল ওঠে। নলহাটির বিধায়ক মৈনুদ্দিন শামস জানতে চান, তাঁর কেন্দ্রে দমকল কেন্দ্র কবে গড়ে উঠবে? জবাবে মন্ত্রী বলেন, নলহাটিতে আমাদের যে জমি দেওয়া হয়েছে, সেটি কৃষি দপ্তরের। কৃষি দপ্তরের জমিতে নির্মাণকাজ করা যাবে না বলে নির্দেশ রয়েছে। বিকল্প জমির খোঁজ চলছে। বহুতল বাড়িগুলিতে অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ জানতে চাইলে দমকলমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে চার রকমের ল্যাডার রয়েছে। আরও উচ্চতার ল্যাডার কেনা হচ্ছে।