গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দপ্তর সূত্রের খবর, ডেঙ্গুর অ্যালাইজা পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা এবং রিপোর্ট দেওয়ার জন্য রাজ্য দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং গ্রামীণ হাসপাতালগুলিকে নিকটবর্তী বড় হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। নিয়ম হয়, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা ওইসব ছোট হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পাঠানো হবে বড় হাসপাতালে। বড় হাসপাতালগুলি অ্যালাইজা পরীক্ষা করে যত দ্রুত সম্ভব মূল হাসপাতালে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবে।
সেই মতো বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল বা জেলা হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করা হয় বিভিন্ন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতালকে। যেমন মিনাখাঁ, ঘোষপুর, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া, ধান্যকুড়িয়া ইত্যাদি। কিন্তু, মূল হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে কেটে যাচ্ছে মূল্যবান তিন থেকে চারদিন। একইভাবে হাবড়া মহকুমা হাসপাতালের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল অশোকনগর, গাইঘাটা, চাঁদপাড়া প্রভৃতি ছোট হাসপাতাল তথা বিপিএইচসি এবং গ্রামীণ হাসপাতালকে। সেখানকার রোগীদের কাছেও রিপোর্ট আসতে কেটে যাচ্ছে ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টা— তিন থেকে চারদিন।
বারাসত জেলা হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করা হয় মধ্যমগ্রাম, আমডাঙা, ছোট জাগুলিয়া প্রভৃতি তুলনায় ছোট হাসপাতালকে। এখানেও কিন্তু রিপোর্ট পেতে দুই থেকে তিনদিন দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সঙ্গে জোড়া হয়েছিল গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং ১, ক্যানিং ২ প্রভৃতি তুলনায় ছোট সরকারি হাসপাতালকে। ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালের সঙ্গে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য যুক্ত মগরাহাট ১, মগরাহাট ২, ফলতা, রায়দিঘি, মথুরাপুর ১, জামতলা প্রভৃতি হাসপাতাল। প্রথম ক্ষেত্রে অর্থাৎ ক্যানিং মহকুমার ক্ষেত্রে রোগীদের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে তিন থেকে চারদিন এবং ডায়মন্ডহারবারের ক্ষেত্রেও একইরকম দেরি হচ্ছে। ভুগছেন হাজার হাজার রোগী ও বাড়ির লোকজন। ডেঙ্গুর দাপট বহু জায়গাতেই অব্যাহত থাকায় চিকিৎসা করতে গিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ছে ডাক্তারবাবুদের।
একইভাবে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা প্রভৃতি বিপিএইচসি নয়ত গ্রামীণ হাসপাতাল। এক্ষেত্রে ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে কোথায় কোথাও লেগে যাচ্ছে চার এমনকী পাঁচদিনও।
বাঙুর জেলা হাসপাতালের উপর এ বিষয়ে নির্ভরশীল মেটিয়াবুরুজ, সোমালি, বিদ্যাসাগর, জিরানগাছা, নলমুড়ি, বাঘযতীন, সরশুনা, এল বি দত্ত প্রভৃতি হাসপাতাল। এক্ষেত্রে রোগীদের রিপোর্ট পেতে লাগছে দুই থেকে তিনদিন। ছয় ঘণ্টায় রিপোর্ট পাওয়া স্বপ্নের মতো শোনাচ্ছে।
রাজ্যে ডেঙ্গুর রক্ত পরীক্ষা মূলত যাঁরা করেন, সেই মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের তৃণমূলপন্থী সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর অন্যতম রাজ্য সম্পাদক সমিত মণ্ডল ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যে কোনও বিষয়ে কার্পণ্য রাখছেন না। তাহলে ছোট হাসপাতালগুলিই বা অ্যালাইজা পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে কেন? বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তার নজরে আনছি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, কয়েকটি জায়গা থেকে এমন খবর এসেছে। আমরা প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব।