বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বরানগর পুরসভার আর্থিক সংকটে প্রথমেই কোপ পড়েছে সাফাই বিভাগে। গত ২ ডিসেম্বর সাফাই কাজে যুক্ত ছয়টি সংস্থার চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ওই ছয়টি সংস্থা ৬টি লরি দিয়ে ভ্যাটে থাকা জঞ্জাল প্রমোদ নগরের ভাগাড়ে নিয়ে যেত। পুরসভার সাফাই বিভাগের নিজস্ব ৬টি ট্রাক্টর রয়েছে। বরানগরে ৩৪টি ওয়ার্ডে মোট ৫৫টি ভ্যাট রয়েছে। পুরসভার ট্রাক্টর দিয়ে ৫৫টি ভ্যাট প্রতিদিন পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে ভ্যাট থেকে উপচে রাস্তায় এসে পড়ছে জঞ্জাল।
বরানগর পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডেই গত এক সপ্তাহ ধরে এই চিত্র। বাড়ি বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করে সাফাই কর্মীরা ভ্যাটগুলিতে জমা রাখেন। ভ্যাট থেকে লরি বা ট্রাক্টরে চাপিয়ে জঞ্জাল নিয়ে যাওয়া হয় ভাগাড়ে। ছয়টি সংস্থার লরি বাতিল হওয়ায় ভ্যাটগুলি যেন জঞ্জালের পাহাড়। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সাফাই কাজে যে ছয়টি সংস্থা যুক্ত ছিল, তাদের কাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। জঞ্জাল ফেলার কাজে ভুয়ো বিল তৈরি করা হত বলে অভিযোগ।
পুরসভার বাসিন্দারা জানান, জঞ্জাল সাফাই না হওয়ায় মশার উপদ্রব বাড়ছে। এমনিতেই বরানগর পুর এলাকা ডেঙ্গু প্রবণ। প্রতিবছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় অনেকে। জঞ্জাল সাফাইয়ে এখানে বাড়তি নজরদারি থাকা দরকার। সব এলাকা সাফাই হওয়া প্রয়োজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাসক দলেরই এক কাউন্সিলার বলেন, পুরসভায় আর্থিক সংকট চলছে ঠিকই। তবে মাস কয়েক আগে পুরসভায় ৩০টি এসি বসানো হয়েছে। এসি মেশিনগুলি চড়া দামে কেনা হয়েছে। বাজারে যা দাম, তার থেকেও বেশি দাম দিয়ে কেনা হয়েছে। এসি মেশিন কেনার সময় আর্থিক সংকটের কথা মাথায় ছিল না পুরকর্তাদের। কাউন্সিলার বলেন, আর কয়েক মাস পরেই পুর নির্বাচন। নির্বাচনের আগে পুর পরিষেবা লাটে উঠলে, ভোট বাক্সে তার প্রভাব পড়বে। পুরকর্তাদের উচিত সাফাই পরিষেবা যাতে উন্নত করা যায়, সেইদিকে বাড়তি নজর দেওয়া। বিরোধীরা এই ইস্যু নিয়ে আন্দোলনে নামতে পারে। বরানগর পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের পুর পারিষদ দিলীপনারায়ণ বসু বলেন, আলোচনা চলছে জঞ্জাল সংক্রান্ত পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায়।