রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন এন এন বাগচি রোড। এই পাড়ার রাস্তায় জল থইথই করছে। কিছু বাড়ির মেঝেতেও জল ঢুকে পড়েছে। নোংরা জমা জল ঠেলেই বাসিন্দারা যাতায়াত করছেন। জমা জলের মধ্যে মশার লার্ভা দেখা গিয়েছে। এতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকছে বলে অনেকে মনে করছেন। এলাকার বাসিন্দা চৈতালী চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখন তো বৃষ্টি নেই। তবু আমরা জলবন্দি হয়ে আছি। বাথরুমের মধ্যে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। বাড়ির পিছনটা পুরোটাই জলমগ্ন। গত সাতদিন ধরে এই অবস্থার মধ্যে রয়েছি। পুরসভাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও পুরকর্মী এলাকা পরিদর্শনে আসেননি।
আশিস মজুমদার নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্ক বাড়ছে। কারণ কিছুদিন আগে এই শহরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গিয়েছেন। জমা জলের মশার লার্ভা খালি চোখেই আমরা দেখছি। আরও ১০ দিন নাকি এই অবস্থার মধ্যে কাটাতে হবে। হাই ড্রেন নির্মাণে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু নাগরিকদের জলবন্দি রেখে তো কাজ করা শোভনীয় নয়।
পুরসভা সূত্রের খবর, দুই মিটার চওড়া হাইড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। সেকারণেই এন এন বাগচি রোড জলবন্দির ঘটনা ঘটেছে। ওই পাড়ায় বেশ কয়েকটি খাটাল রয়েছে। প্রতিদিন খাটালে মোষদের স্নান করা হয়। খাটালের জল এসে পড়ে ছোট ড্রেনে। এতে জল নামছে না। পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, হাইড্রেন নির্মাণের জন্য এই সমস্যা। চার দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। হাইড্রেন নির্মাণের পর ওই পাড়ায় আর কোনও দিনই জল জমবে না।