কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গত সোমবার রাসবিহারী-তারাতলা রুটের অটোটি তারাতলার দিকে যাচ্ছিল। গোবিন্দ্য আঢ্যি রোডের কাছে সেটির সামনের চাকা ফেটে যাওয়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। সেই সময় বাজার থেকে ফিরছিলেন তাপস পাল এবং তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা পাল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাল দম্পতি তাঁদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে ছিলেন। তাঁদের উপরই গাড়িটি উল্টে পড়ে। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অটোয় চালক সহ পাঁচজন ছিলেন। তাঁদেরও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাপসবাবুর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁকে প্রথমে নিউ আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ব্যয়বহুল খরচের জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁকে এসএসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মেয়র বললেন, মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল ওই যুবকের। রক্তক্ষরণও হয়েছিল। পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে আইসিইউ, তারপরে ভেন্টিলেশনে রেখে তাপসের চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন তিনি। তাই তাঁকে বাঁচানো গেল না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মেয়র এদিন ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী এবং ছ’বছরের ছেলেকে দেখে আসেন। মেয়র বলেন, চেতলা বস্তি উন্নয়ন সমিতির তরফে মৃত যুবকের স্ত্রীকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়াও মোটর ভেহিকেলস আইন অনুযায়ী টাকা পাবে সুস্মিতা পাল। আমি তাঁকে বলেছি, টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দেওয়া হবে। ছ’বছরের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্বভার আমি নিলাম। ওই পরিবারের পাশে আমি সর্বদা থাকব। এদিন সকালে হাসপাতাল থেকে তাপস পালের মৃত্যুর খবর এলে শোকের ছায়া নেমে আসে গোবিন্দ আঢ্যি রোড এলাকায়।