পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কাঁচরাপাড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি রক্তদান শিবিরের জন্য গত বেশ কিছু দিন ধরে মাইকে প্রচার চলছে। এরই মধ্যে চলছে ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা। ছেলে মেয়েদের পরীক্ষার কারণে সকলেই অতিষ্ঠ ছিল। গত শুক্রবার শব্দ দূষণের প্রতিবাদ করতে যান শহিদ নগর এলাকার তরুণী সুরশ্রী শীল। তিনি এলাকার তৃণমূলের কাউন্সিলারের কাছে অভিযোগ জানাতে যান। এর পরেই ওই তরুণীকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে মারধর করা হয়। নিগ্রহের ঘটনাটি তরুণী ভিডিও করে রেখেছিলেন। ওই ভিডিও তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রতিবাদ করছেন প্রায় সকলে।
নিগৃহীতা তরুণী রবিবার বীজপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমেছে। নিগৃহীতা তরুণী সুরশ্রী পেশাগত কারণে দিল্লিতে থাকেন। মাঝে মধ্যে তিনি কাঁচরাপাড়ার নিজের বাড়িতে আসেন। তরুণী বলেন, রক্তদান শিবির হবে জানুয়ারি মাসে। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এক নাগাড়ে তারস্বরে মাইক বাজছে। এই মুহূর্তে ছাত্র ছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। মাইকের সাউন্ড যাতে কমানো হয়, এর অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম পাড়ার কাউন্সিলারকে। একারণেই তিনি আমাকে নিগ্রহ করেন। ইংরেজিতে কিছু কথা বলেছি বলে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। পুরোটাই ভিডিও করা রয়েছে। তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে। শব্দ দৃষণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এর আগে বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা চাই শব্দ দূষণে যেন কোন ছাত্র ছাত্রী বা বয়স্ক রোগীর ক্ষতি না হয়। এ কারণেই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। বার্ষিক পরীক্ষায় ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠনে ব্যাঘাত ঘটছে। জানুয়ারি মাসে রক্তদান শিবির হলে, এখন থেকেই মাইক বাজানোর কোনও মানে হয় না। এবং মাইক বাছছে তারস্বরে।
কাঁচরাপাড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার উৎপল দাশগুপ্ত ফোন ধরেননি। ফলে তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পুরসভার চেয়ারম্যান সুদামা রায় বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে। তরুণীকে নিগ্রহ করা উচিত হয়নি। তারস্বরে মাইক বাজানো উচিত নয়। তরুণী থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমেছে।