পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার নাগরিক পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ সেখানকার পুর নাগরিকদের। ১ থেকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গাতে নিকাশির জন্য রাস্তা খোঁড়া হলেও অনেক জায়গাতে কাজের গতি শ্লথ। ফলে যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে। বহু জায়গাতে রাস্তা ভেঙে কঙ্কালসার চেহারা নিয়েছে। কিন্তু তা মেরামতের দিকে নজর নেই। বাড়ি নকশা, মিউটেশন পাওয়া নিয়ে পুরসভার টালবাহানা ও হয়রানি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ নাগরিকদের। কোথাও কোথাও কাউন্সিলার ও তাঁদের অনুগতদের মদতে পুকুর ভরাট হচ্ছে, কোথাও বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছে একের পর এক বিল্ডিং। কোথাও নিকাশি দখল করে চলছে নির্মাণ কাজ। নাগরিকদের অভিযোগ, এ নিয়ে কাউন্সিলারদের কাছে নালিশ করতে গেলে গুরুত্বই দেওয়া হয় না। বরং কখনও কখনও ধমক খেতে হয়। পাশাপাশি হরিনাভিতে পুরভবনে গেলে কেউ দেখাই করতে চান না। চেয়ারম্যানও সেভাবে সক্রিয় নয় বলে অভিযোগ। সেই কারণে নাগরিকরা এখন পুরমন্ত্রীর কাছে নালিশ করছেন। কলকাতা পুরসভার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে ফোন করে ভুরি ভুরি অভিযোগ করছেন নাগরিকরা। অভিযোগকারীরা মন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কাউন্সিলার থেকে পুরভবনের পদাধিকারীরা কেউ নাগরিকদের কথা শোনেন না। সেই কারণে আপনার কাছে ফোন করে জানাতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ, আপনি রাজ্যের পুরমন্ত্রী।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তড়িৎ চক্রবর্তী বলেন, এখানে অধিকাংশ জায়গাতে কাউন্সিলারদের মধ্যে সুসম্পর্ক নেই। চেয়ারম্যানের সঙ্গেও সদ্ভাব নেই অনেকের। ফলে চেয়ারম্যান কোনও কাজ করতে চাইলে তা নিয়ে অনেকেই বাগড়া দেন। সব মিলিয়ে পুরসভা অভিভাবকহীন হয়ে গিয়েছে। তার খেসারত দিতে হচ্ছে নাগরিকদের। তড়িৎবাবুর কথায়, ডাম্পিং গ্রাউন্ড কেনা নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। তার তদন্ত না করে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। সেই জমি আদৌ পুরসভার হাতে এল কি না, নাগরিকরা তা জানতেই পারল না।
শনিবারই টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চৌহাট্টি, বোড়াল, রাণিয়া থেকে বাসিন্দারা পুরমন্ত্রীর কাছে একের পর এক অভিযোগ করেন। হরিনাভির বাসিন্দা এক যুবক বলেন, চৌহাট্টিতে বেহাল রাস্তা মেরামত হচ্ছে না। বোড়াল ও রাণিয়া থেকে দু’জন অভিযোগ করেন। একজন জানান, রাণিয়াতে বেআইনি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। সেখানে নিকাশি দখল করে নির্মাণ চলছে। কাউন্সিলারকে জানিয়ে কোনও লাভ হচ্ছে না। চৌহাট্টির বাসিন্দাকে রাস্তার ছবি সহ বিস্তারিত তথ্য মোবাইলে পাঠাতে বলেন মন্ত্রী। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস বলেন, নাগরিকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাস্তা, নিকাশি, পানীয় জল থেকে সব দিকের কাজ হচ্ছে। কাউন্সিলার সকলের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ হচ্ছে। চেয়ারম্যান বলেন, পুকুর ভরাটের অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ব্যক্তিগতভাবে সকলকে খুশী করা সম্ভব নয়। এখন কেউ যদি মনে করে তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তা হয়নি। কিংবা কারও কোনও ব্যক্তি শত্রুতা থাকে, তা নিয়ে নালিশ করে, সে ব্যাপারে বলার কিছু নেই। তবে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। চেয়ারম্যানের আরও দাবি, মিউটেশন ও প্ল্যানও নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়া হচ্ছে।