বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কাউন্সিলার অমল চক্রবর্তী বললেন, এই বক্তব্য এলাকার মানুষের নয়। বিধায়ক সাধন পাণ্ডে পুরভোটের আগে আমার বদনাম করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বেআইনি নির্মাণ এলাকার বিধায়কই করে চলেছেন। কোনও কাউন্সিলার ওই বিধায়কের সঙ্গে নেই। কাউন্সিলারের অনুগামীদের অভিযোগ, গোটা মানিকতলা বিধানসভা এলাকাতেই বিধায়ক তৃণমূলকে হারানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। অন্যদিকে, মন্ত্রী তথা বিধায়ক সাধন পাণ্ডের কথায়, এব্যাপারে আমি কী বলব! এই বিক্ষোভ এলাকার মানুষ দেখিয়েছেন। তৃণমূলের কর্মীরা দেখিয়েছেন। এর মধ্যে আমি কোথায়! কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে বিক্ষোভ তো হবেই।
যদিও বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ব্যানার-পোশাক পরে এভাবে দলেরই কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো উচিত হয়নি। কারও বিরুদ্ধে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু যে কর্মসূচিকে এখন সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেটিকেই বিক্ষোভের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। দলীয় নেতৃত্বের কাছে হয়তো ‘আইপ্যাক’ এব্যাপারে রিপোর্ট দেবে। তবে উত্তর কলকাতার নেতারা মনে করছেন, নেতৃত্ব দু’জনকে ডেকে সাবধান না করে দিলে এই ঘটনা পুরভোটে আগে আরও বাড়বে।
অমল চক্রবর্তীর সঙ্গে সাধন পাণ্ডের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার মানিকতলা এই দ্বন্দ্বের কারণে শিরোনামে উঠে এসেছে। শুধু বিক্ষোভ বা দ্বন্দ্বের মধ্যে বিষয়টি আবদ্ধ থাকেনি, হয়েছে সংঘর্ষ-দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের মতোও ঘটনা। এদিন এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা এতদিন পর বাধ্য হয়েছি থানার সামনে কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে। মানুষ আমাদের কাছে প্রশ্ন তুলছে। কেন কাউন্সিলার বেআইনি কাজ করছেন? কেন পুলিসের সাহায্য নিয়ে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে? উত্তর তো আমাদেরই দিতে হচ্ছে। তাই শুধু কাউন্সিলার নন, পুলিসের বিরুদ্ধেও আমাদের বিক্ষোভ। পুলিস জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি দেখা হচ্ছে।