পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, ছলাকলা পটিয়সী ওই রমণী শনিবারই কখনও রাগ, কখনও কান্না আর মিথ্যে বয়ানে পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালেই সে অসুস্থতার নাটক ফেঁদে বসে। পুলিস কর্মীরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে ফের থানার হেফাজতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এই ছলাকলাকেই সে স্বামীকে খুনের দিন ব্যবহার করেছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে। দিন দশেক আগেই যে স্বামী প্রীতমকে কার্যত ফ্ল্যাট থেকে বের করে দিয়েছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর ঠাকুর দেখানোর বায়না নিয়ে সেই স্বামীর কাছে হাজির হয়েছিল। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন কোন্নগরেরই একটি বাড়িতে রাত পাহারা দিতে গিয়েছিলেন প্রীতম। অক্টোবরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মরশুমে সেই রাতে সেজেগুজে স্বামীর সেই বাড়ির দরজায় টোকা দিয়েছিল সে। দরজা খোলার পরেই আদুরে বায়না ধরেছিল টুম্পা। সহজ সরল প্রীতম তাতে বিশ্বাস করে টুম্পাকে ভেতরে ডেকে নেয়। এরপরের ঘটনার নিশ্চিত তথ্যপ্রমাণ জোটাতে পুলিস খুনের পুনর্নিমাণের পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে জানা গিয়েছে, ঘরে গিয়ে খাবারের জন্যে আবদার করে বসে লাস্যময়ী টুম্পা। তার উদ্যোগেই আসে খাবার এবং স্বামীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে ডাকা হয় চিন্ময়কেও। সেই সঙ্গে আসে মদ। এসবই যে তাঁকে খুনের আয়োজন, হয়তো শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ঠাহরই করতে পারেননি টুম্পার স্বামী প্রীতম চট্টোপাধ্যায়। তাঁর গলাটিপে ধরার সঙ্গে মুখে বালিশ চাপাও দেওয়া হয়েছিল সেই রাতে।
যেমন বিলাসী, তেমনি শক্তমনের মহিলা ওই ছলাকলাপটিয়সী। শনিবার রাতে তার কিছুটা আঁচ পেয়েছেন পুলিস কর্তারাও। জানা গিয়েছে, বেশ দাপটের সঙ্গে পুলিস জেরার মোকাবিলা করতে দেখা গিয়েছে ওই মহিলাকে। যা কিছুটা হলেও বিস্মিত করেছে পুলিস কর্তাদের। নানাভাবে মিথ্যে পর মিথ্যে বলে পুলিসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও টুম্পা করেছে। জেরার মুখে চিন্ময় যেখানে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিল সেখানেই শনিবার রাতে উত্তরপাড়া থানা লকআপে বেশ বহাল তবিয়তেই ছিল টুম্পা। পুলিসের দেওয়া খাবারদাবার খেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুম দিয়েছে। তবে তার আগে বার দু’য়েক চিন্ময়ের সম্পর্কেও খোঁজখবর নিয়েছে। উল্টো দিকে চিন্ময় অনেকটাই বিমর্ষ ছিল। টুম্পার খোঁজখবরও বিশেষ নেয়নি। চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রায় দু’বছর ধরে পালিয়ে থাকার পরে স্বামীকে খুনে অভিযুক্ত স্ত্রী টুম্পা ও তার প্রেমিক চিন্ময়কে শুক্রাবার রাতে পুলিস তারাপীঠের একটি বিলাসবহুল হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে এনেছিল।