মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
কমলেশের ভাই রাহুল সিং বললেন, দাদা ও বউদি এক বছর আগে বেহালার অশোকা সিনেমা হলের কাছে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। বউদি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পাঁচ বছর আগে দাদার বিয়ে হয়েছিল। দাদাই ছিলেন আমাদের পরিবার অন্যতম মাথা। প্রতিদিনই দাদা বাইকে বেহালার বাড়িতে ফিরতেন। শনিবার বলেছিলেন, একটু দেরি হবে। আমি ও আমার এক ভাই, বাবা খিদিরপুরের কার্ল মার্কস সরণীর বাড়িতে থাকি। মা থাকেন বিহারের ছাপড়াতে। মা’কে এখনও খবর পাঠানো হয়নি। বলেছি, দাদা অসুস্থ। আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। দেখা গেল, কমলেশের বাবা কেঁদেই চলেছেন। কথা বলার মতো অবস্থা নেই। কমলেশের স্ত্রী মাগ্রেট সিং স্বামীর মৃত্যুতে মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। পড়শিদের তাঁকে সামলাতে দেখা গেল। পড়শিরা বললেন, অনেক কষ্টা করেই নিজেকে দাঁড় করিয়েছিলেন কমলেশ। নিজের দুই ভাই আরও বড় হোক, সেটাও চাইতেন। নিয়মিত মায়ের সঙ্গে বিহারে ছাপড়ায় ফোন করে কথাও বলতেন। রাহুল বললেন, দাদা, খুব একটা জোরে গাড়ি চালাতেন না। কাজের ফাঁকে সময় পেলেই আমাদের সবার সঙ্গে কথা বলতেন।
পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ফুটেজ পেলে দুর্ঘটনাটি কীভাবে ঘটল, তা আরও পরিষ্কার হবে। তবে বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল। উড়ালপুল দিয়ে যাওয়ার সময় যেরকম গতি থাকার কথা, সেই গতিতেই বাইকটি চালাচ্ছিলেন ওই যুবক। এক পুলিসকর্তা বলেন, এক্ষেত্রে বাইক চালকের হেলমেট থাকা, না থাকা কোনও বিষয় না। কারণ, অত উঁচু থেকে পড়লে কারও পক্ষেই বেঁচে থাকার কথা নয়। উড়ালপুলের ওই লেনে থাকা সব ক’টি সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।