বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থাটির মূল দায়িত্ব হবে পাখিগুলির কলকাতার বিমানবন্দরের আকাশে এত ওড়ার কারণ খুঁজে বের করা। মূলত সন্ধ্যাতেই পাখিদের বাড়বাড়ন্ত হয়। কিন্তু সকালেও যে দাপট একেবারেই থাকে না, তা বললে ভুল হবে বলেই জানিয়েছেন এটিএম-এর আধিকারিকরা। তাঁদের কথায়, পাখি এখানে জন্মাচ্ছে, নাকি বাইরে থেকে উড়ে আসছে, সেটাই খতিয়ে দেখা অন্যতম দায়িত্ব সংস্থার কর্তা-আধিকারিকদের। এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার এক কর্তার কথায়, গত বছর থেকে চলতি বছরে বিমানে পাখির ধাক্কার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই বছরে এখনও পর্যন্ত ৫২টি পাখির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার এক কর্তা জানান, গোটা দেশের মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরেই পাখির ধাক্কার ঘটনা অনেকটা বেশি। মুম্বইতে সমস্যা কমেছে। কোচি বিমানবন্দরে একই সমস্যা গত বছর বাড়বাড়ন্ত হলেও, তা এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু কলকাতার ক্ষেত্রে পাখি তাড়ানোর বন্দুক, আলাদা করে লোক নিয়োগ সহ একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অথচ দেখা যায়, বিমান ওঠানামার মুখে শুধু উড়ে আসা নয়, রানওয়েতেও একাধিক পাখি এসে বসে থাকে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।
বর্তমানে কলকাতায় দিনে ৫০০টির কাছাকাছি বিমান ওঠা-নামা করে। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। ২ হাজার ৪৬০ একর জমিতে দু’টি রানওয়ে বিশিষ্ট বিমানবন্দরে পাখি সমস্যা কতটা চিন্তায় রেখেছে কর্তাদের, তা শনিবার অধিকর্তা বা জেনারেল ম্যানেজারের বক্তব্য থেকেই প্রমাণিত। এক পাইলটের কথায়, বিমানবন্দর লাগোয়া চারটি পুরসভা রয়েছে। দমদম, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম এবং উত্তর বারাকপুর। বিমানবন্দরের আশপাশের জঞ্জাল দ্রুত পরিষ্কার করতে বারবার বলা হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু কোনও সময় তা হয়, আবার কখনও দিনের পর দিন পরে থাকে। যার জেরে বিপত্তি ক্রমশ বাড়ছে।