বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শলপ-১ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বিশ্বজিৎ পণ্ডিত বলেছেন, এই নিয়ে আমরা শিল্পতালুকের সমিতির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাঁরাও কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হয়নি। আর তার জন্য কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে আছেন। ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এটি এই এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই নর্দমাটি পাকা করলে কিছুটা সমস্যার সমাধান হবে। একই সঙ্গে যে সমস্ত কারখানাগুলি রাসায়নিক মিশ্রিত জল ওই নর্দমা দিয়ে বের করছে, তাদেরও বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। এই নিয়ে জেলাস্তরে একটি বৈঠক করা হবে। শলপ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল ঘোষ বলেছেন, এলাকার মানুষ পাতকুয়া ব্যবহার করতে পারছেন না। তাঁদের দূর থেকে জল এনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। কয়েকজন ওই জল ব্যবহার করেছিলেন। তাঁরা চর্মরোগের শিকার হয়েছেন। সেই কারণে বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি। কাটলিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেকস ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কোর কমিটির সদস্য দেবব্রত চক্রবর্তী বলেছেন, এলাকার লোকজন যে অভিযোগ করছেন, তা সঠিক। আমরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আমরা সমিতি থেকে প্রতিটি কারখানাকে বলেছি, দূষণ নিয়ে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিলে আমরা পাশে দাঁড়াব না। তারপর কয়েকটি শিল্প সংস্থা দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছে। পাতকুয়ার জল ব্যবহার করা যাচ্ছে না, এটা আমরাও দেখেছি। গত শুক্রবারই বিডিও’র সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, ওই নর্দমা পাকা করে দিলে সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে। একই সঙ্গে আমরাও যাতে রাসায়নিক মিশ্রিত জল নর্দমা দিয়ে না যায়, তার দিকে নজর দেব।
ডোমজুড়ে বেশ কয়েকটি শিল্পতালুক রয়েছে। তার মধ্যে কাটলিয়া একটি অন্যতম। এখানে ছোট ও বড় মিলিয়ে শতাধিক কারখানা আছে। এই শিল্পতালুক তৈরির সময় পরিকল্পনা করেই নর্দমা বের করা হয়। ঠিক ছিল, কারখানার বর্জ্য পদার্থ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নষ্ট করা হবে। আর সাধারণ জল ওই নর্দমা দিয়ে বের হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কয়েকটি কারখানা থেকে রাসায়নিক মিশ্রিত জলও বের হচ্ছে। তার ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতি, জেলাশাসক, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে এই রাসায়নিক মিশ্রিত জল বের হওয়া বন্ধ না হলে লাগাতার আন্দোলনে নামা হবে।