পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
ধরা যাক, একজন পড়ুয়া কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ছেন। ওপেন ইলেক্টিভের মাধ্যমে তিনি তাঁর বিষয় বাদে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্য বিষয়ও নিতে পারবেন। এই বিষয় বাছাই করার সুযোগ দেওয়া হবে তৃতীয় এবং চতুর্থ সেমেস্টারেই। এক্ষেত্রে একটি ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয় থেকেই বেছে নিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। অর্থাৎ, এক ক্যাম্পাসের পড়ুয়া অপর ক্যাম্পাসের বিষয় নিতে পারবেন না। আগামী বছর থেকে তা চালু হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি বিভাগ কতগুলি এমন ওপেন ইলেক্টিভের অপশন দিতে পারবে, তার তালিকা দিতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি বিষয়ে কতজন করে পড়ুয়াকে জায়গা দেওয়া যাবে, সেটিও এমাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন ফ্যাকাল্টির কর্তারা।
কিন্তু প্রশ্ন হল, একটি বিষয়ের জন্য যদি খুব বেশি আবেদন জমা পড়ে, সেক্ষেত্রে কী হবে? এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। প্রথম বর্ষের অভিন্ন সিলেবাসের উপর সবাইকে পরীক্ষা দিতে হয়। সেই পরীক্ষার পর পড়ুয়াদের এই ওপেন ইলেক্টিভ বাছাই করার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রত্যেক পড়ুয়াই তাদের পছন্দ জানিয়ে দেবে। তারপর ওই পরীক্ষার ফলাফল দেখে মেধা তালিকার ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিষয়গুলি বণ্টন করা হবে। সেক্ষেত্রে কেউ তাঁর পছন্দের বিষয় নাও পেতে পারেন। ফ্যাকাল্টির এক কর্তা বলেন, এনবিএ’র নিয়ম মাফিক এটি চালু করা হবে। নীতিগতভাবে আগামীবছর থেকেই তা চালু করার কথা ঠিক হয়েছে।
এদিকে, পিএইচডি’র গবেষণাপত্র (থিসিস) নকল করা নিয়ে সতর্ক বিশ্ববিদ্যালয়। সেটি জমা দেওয়ার সময় একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে গবেষণাপত্রের খসড়া পরীক্ষা করা হবে। ১০ শতাংশের বেশি টোকা অংশ থাকলে, সেটি গৃহীত হবে না। সংশ্লিষ্ট গবেষককে নকল করার অংশ কমাতে হবে। পরীক্ষার পর এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। সেটি গবেষকের সুপারভাইজার যাচাই করে সই করে দেবেন। গবেষণাপত্রের সঙ্গে সেই সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে এ নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এটি চালু করা হলেও, বাকি ফ্যাকাল্টিতে এখনও এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।