বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শুধু জলাশয় সংস্কার নয়, ভরাট রুখতে এদিন বৈঠকে উপস্থিত কলকাতা পুলিসের এক কর্তাকে মেয়র আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে বলেন। তিনি বলেন, জলাশয় ভরাট রুখতে ওসিদের আরও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। ওসিরা সক্রিয় থাকলে জলাশয় বোজানো রুখে দেওয়া সম্ভব। মেয়র বলেন, ওসি বদল হলে যেভাবে লালবাজারের সব বিভাগের কাছে সেই তালিকা চলে যায়, তেমনই কলকাতা পুরসভার কাছেও থানা বদল হলে নতুন ওসিদের তালিকা যেন পাঠানো হয়। কোনও থানার ওসি অন্য থানায় বদলি হতেই পারেন। তবে যাওয়ার আগে এলাকার জলাশয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নতুন ওসিকে দিয়ে যেতে হবে, এই নির্দেশ যেন দেওয়া হয়। এর ফলে নতুন ওসি জলাশয় ভরাট রোধ এবং নজরদারির ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পান। পাশাপাশি, মেয়র বলেছেন, জলাশয় ভরাট রোখার ক্ষেত্রে কে কোন রাজনৈতিক দলের, তা যেন পুলিস না দেখে। অভিযোগ পেলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।
এদিনের বৈঠকে শহরের বেশ কিছু এলাকায় বেআইনি নির্মাণের প্রসঙ্গটিও ওঠে। সেক্ষেত্রে পুলিসের ভূমিকা ও সহযোগিতা পাওয়া নিয়ে মৃদু অসন্তোষ প্রকাশ করেন কমিশনার। পুর কমিশনার ওই পুলিস কর্তাকে বলেন, বেআইনি নির্মাণ রোধে তিনি ডেপুটি কমিশনার স্তরে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। যার মধ্যে রয়েছেন পুলিস ও পুরসভার কর্মীরা। ওই কমিটির দায়িত্ব, জলাশয় ভরাট ও বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা। সেই কমিটি এখন কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশনার। তিনি বলেন, ডেপুটি কমিশনার স্তরের ওই কমিটিকে আবার সক্রিয় করে তুলতে হবে। ওই কমিটি সক্রিয় থাকলে ডেপুটি কমিশনার স্তর থেকেই অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
এদিকে, এই বৈঠকেই নাইট শেল্টার ও বিপিএল তালিকা নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকের পর মেয়র বলেন, নতুন করে ১৮ হাজার ৫২২ জনের নাম খসড়া হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। যা আগামী পুর অধিবেশনে পেশ করা হবে। তারপরই তা চূড়ান্ত করে মানুষের সামনে আনা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫-১৬ সালে যে বিপিএল তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তাতে ২ লক্ষ ৮৯ হাজার পরিবারের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।