গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে এখনও এসসি এবং এসটি কোচিংয়ের প্রাপ্য টাকা পাঠানো হয়নি। ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। কবে কেন্দ্র থেকে সেই টাকা আসবে, তার জন্য আর বসে থাকছে না বিশ্ববিদ্যালয়। নিজেদের তহবিল থেকেই এসসি এবং এসটি কোচিং পরিষেবা দেওয়ার কথা ঠিক হয়েছে। এর জন্য বছরে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আধিকারিকদের মতে, ন্যূনতম পরিষেবা যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। কেন্দ্র কবে টাকা দেবে, তার আশায় বসে থাকলে, এই সব পড়ুয়ারা সেই সুবিধা পাবে না। এদিকে, ইউপিই (ইউনিভার্সিটি উইথ পোটেনশিয়াল অব এক্সেলেন্স) খাতে বিশ্ববিদ্যালয় এখনও সাড়ে চার কোটি টাকা পায়। সেটি নিয়েও দিল্লিতে দরবার করেছেন কর্তারা। কিন্তু এখনও টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ।
তবে সবচেয়ে বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন গবেষকরা। স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি প্রার্থীদের যে মাসিক ভাতা দেওয়ার কথা, তা একেবারে অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। গবেষকদের অভিযোগ, ছয় থেকে আট মাস করে বকেয়া পড়ে যাচ্ছে টাকা। জানা গিয়েছে, আগে এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে আসত। সেখান থেকে টাকা গবেষকদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হতো। কোনও সময় কেন্দ্র থেকে টাকা দেরিতে আসলে, বিশ্ববিদ্যালয় নিজের তহবিল থেকেই তা দিয়ে দিত। কিন্তু এখন সরাসরি গবেষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র। ফলে টাকা আসতে দেরি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কিছু করতে পারছে না। ভাতা না মেলায় গবেষণায় ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান অধ্যাপকরা। সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, কিছু কিছু বকেয়া আছে। আশা করছি শীঘ্রই তা পেয়ে যাব। তবে গবেষকদের মাসিক ভাতা আটকে রয়েছে। আমরা দিল্লিতে চিঠি দিয়ে এটা জানিয়েছি।
আরও একটি বড় সমস্যা তৈরি হলেও, পরে তা কিছুটা সামাল দিতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। সেটি হল, ন্যানো মিশন প্রকল্পের টাকা আচমকাই মাঝপথে বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। হিসেব মতো এই খাতের টাকা পাওয়ার কথা এমটেক পড়ুয়াদের। ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত টাকা দেবে বলেছিল কেন্দ্র। কিন্তু ২০১৯ সালে তারা জানায়, আর সেই টাকা দেওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতিতে তীব্র সমস্যায় পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। দিল্লি গিয়ে এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে দরবার করা হয়। শেষ পর্যন্ত ২০২০ পর্যন্তই এই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন, কেন বা এই প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ করা হল আর কেন মাঝপথে তা বন্ধ করা হল? এছাড়াও বছরে যে মাত্রায় গবেষণা প্রকল্প বরাদ্দ করা হতো, তার সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ অধ্যাপক সংগঠন জুটা। তাদের বক্তব্য, এই ভাবে অকারণে টাকা আটকে রাখায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পড়ুয়ারা।