পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিস যে আড়াই হাজার জনকে চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে ১৮০০ জনকে গ্যাসের ওভেন দেওয়া হয়েছে। হাওড়া পুরসভায় ২২৫ জনকে এবং বিধাননগর পুরসভা এলাকায় ৭৮৮ জনকে এমন উনুন দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গ্যাসের ওভেন দেওয়া হবে। এর ফলে শহরে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু কয়লার উনুন নয়, আগুন জ্বালিয়ে ইস্ত্রিও বন্ধ করতে চাইছে সরকার। এর পরিবর্তে গ্যাসচালিত ইস্ত্রি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ দপ্তর। শহরের রাস্তায় কত সংখ্যায় মানুষ কয়লার উনুন জ্বালিয়ে ইস্ত্রি করেন, সেই সমীক্ষাও করা হয়েছে।
দিল্লির দূষণের কথা মাথায় রেখেই কলকাতা, সল্টলেক, হাওড়া, আসানসোল, হলদিয়ার দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা নবান্নে দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরিবেশ, পরিবহণ, পুর ও নগোরন্নয়ন, শিল্প, ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প দপ্তরের প্রধান সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই ঠিক হয়, ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হবে। দূষণ ছড়ায়, এমন সব জিনিস নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। রাস্তায় উনুন জ্বালানো বন্ধ করতে হবে। রাস্তায় জল দিতে হবে। আরও গাছ লাগাতে হবে। নবান্নের নির্দেশে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বৈঠকে এ ব্যাপারে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শীতকালে বেশি দূষণ হয় বলে কলকাতা সহ শহরগুলিতে সকালের দিকে রাস্তায় জল ছেটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরসভাগুলিই এই কাজ করবে। এর জন্য যে টাকা লাগবে, তা পুরসভাগুলিকে দেবে পরিবেশ দপ্তর।
তবে পরিবেশ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ওই জলের মধ্যে একটি কেমিক্যাল দিলে রাস্তায় ধুলো কম উড়বে। এই জল দেওয়ার বিষয় নিয়ে দমকল দপ্তরের সঙ্গেও আলোচনা করব। ভালো করে জল দিতে পারলে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। আমরা দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। হলদিয়া ও আসানসোলকে যেহেতু গ্রিন বেঞ্চের ভাষায় ‘ক্রিটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া’ বলা হয়েছে, তাই আলাদা করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের কাজকর্ম ভালো হওয়ায় ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকা দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে সেরার পুরস্কার দিয়েছে।