বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা বলেছেন, শহরের সমস্ত রাস্তার হাল খতিয়ে দেখে আমরা প্রায় ৮০ কোটি টাকার ডিপিআর পুরদপ্তরে পাঠিয়েছি। পুরদপ্তর থেকে যেভাবে বরাদ্দ হচ্ছে, আমরা সেইমতো টেন্ডার করে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কয়েকদিন আগেই প্রায় চার কোটি টাকায় ১৬টি রাস্তার কাজ করার জন্য বরাদ্দ এসেছিল। তার টেন্ডার প্রক্রিয়াও এই সপ্তাহে শেষ হয়েছে ও ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই তার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। বাকি যে দু’টি বরাদ্দ এসেছে, তার টেন্ডার প্রক্রিয়াও খুব দ্রুত শুরু করা হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ১৬টি রাস্তার টেন্ডার হয়েছে, সেগুলি মূলত মধ্য হাওড়া এলাকার। এছাড়া গত সপ্তাহে যে ৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা মূলত লিলুয়া এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তা। তার মধ্যে বেলগাছিয়া রোড, ঝিল রোড, লিলুয়া পঞ্চাননতলা রোড প্রভৃতি রয়েছে। এই রাস্তাগুলির অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। গত বর্ষার পর থেকেই এগুলি কার্যত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। তাই এলাকার বাসিন্দারা বেশ কয়েকবার পুরদপ্তরে চিঠি দিয়ে দ্রুত রাস্তা তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু, পুরসভার তহবিলে টান থাকায় এই রাস্তা তৈরির জন্য হাওড়া পুরসভা পুরদপ্তরে বরাদ্দ চেয়ে ডিপিআর পাঠায়। কিছুদিন আগে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম হাওড়া পুরসভায় এসে কাজকর্ম নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই রাস্তার জন্য বরাদ্দ পাঠানোর জন্য পুরসভার অফিসাররা মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। সেইমতো মন্ত্রী দ্রুত বরাদ্দ অনুমোদন করা হবে বলে আশ্বাস দেন। পুরসভার অফিসাররা বলেছেন, আগামী সপ্তাহের প্রথমেই লিলুয়া এলাকার রাস্তাগুলির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
তবে শুধু লিলুয়া এলাকা নয়, দক্ষিণ হাওড়ারও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। তার মধ্যে দানেশ শেখ লেন, ১০০ ফুট রাস্তায় পিচ উঠে গিয়েছে। পদ্মপুকুর এলাকাতেও কয়েকটি রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। মধ্য হাওড়ায় ৩০, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডেও বেশ কয়েকটি রাস্তায় পিচ উঠে হাড়কঙ্কাল বেরিয়ে গিয়েছে। অথচ এই রাস্তাগুলি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। যদিও পুরসভার কর্তাদের আশ্বাস, শহরের সমস্ত রাস্তায় কাজ করার জন্য যে ডিপিআর পাঠানো হয়েছে, তার বরাদ্দ ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই চলে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আর তা হলে, মার্চের মধ্যে সমস্ত রাস্তা নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হবে।