অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত পুরসভা লাগোয়া কালীকৃষ্ণ গার্লস হাইস্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। স্কুলের সামনে রাস্তায় প্রতিনিয়ত ইমারতি দ্রব্য ফেলে রেখে ব্যবসা চালানো হয় বলে অভিযোগ। স্কুল চলাকালীন স্টোন চিপস সহ অন্যান্য সামগ্রী ফেলার সময় পুরো এলাকা ধুলোয় ভরে যায়। রাস্তা লাগোয়া স্কুলের অফিসঘর বন্ধ রাখতে বাধ্য হন শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। স্কুলে ঢোকা ও বের হওয়ার সময় ওই ইমারতি দ্রব্য টপকে স্কুলে যেতে হয় একরত্তি মেয়েদের। রাস্তার ধারে ইট-বালি ফেলে রাখার কারণে প্রায়শই যানজট তৈরি হয় স্কুলের সামনে। এমনকী স্কুল লাগোয়া ড্রেন ওইসব সামগ্রীতে ভরে থাকায় সারা বছর সেখানে জল জমে থাকে। বর্তমানে ওই জমা জল মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ। সমস্যার কথা বহুবার অভিভাবকরা পুরসভায় জানালেও কোনও লাভ হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে একটি ১৬ চাকার লরি স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে মাল খালাস করছিল। আচমকা লরিটি পিছনের দিকে চলতে থাকে। ওই সময় প্রাথমিক স্কুলে আসা এক ছাত্রী লরির চাকায় চাপা পড়তে যাচ্ছিল। অন্যান্য অভিভাবকরা তাকে কোনওমতে টেনে বার করেন। এরপরই তীব্র ক্ষোভ ছড়ায়। তাঁরা স্থানীয় কাউন্সিলারের বাড়িতে যান। সেখানেও তেমন কোনও সদুত্তর না পেয়ে তাঁরা স্কুলের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। প্রায় আধ ঘন্টা বিক্ষোভের জেরে যানজট শুরু হয়। পরে পুলিস এসে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এক অভিভাবক বলেন, প্রত্যেকদিন স্কুলের সামনে সামগ্রী ফেলা হয়। সেই সময়টা পুরো এলাকা ধুলোয় ভরে যায়। বাচ্চাদের মধ্যে ধুলোজনিত অ্যালার্জি দেখা দিয়েছে। এদিন একটি ছাত্রী লরির চাকায় চাপা পড়তে পড়তে বেঁচে গিয়েছে। আগামী দিনে সমস্যার সমাধান না হলে একজোট হয়ে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। স্কুলের শিক্ষক স্বপন রায়চৌধুরী বলেন, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা থেকে এক ছাত্রী ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়েছে। প্রত্যেক দিন একই ঘটনা ঘটছে। আমরা মৌখিকভাবে বহুবার বলেছি। বারাসত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা আইনত নিষিদ্ধ। শুধু ওই স্কুল নয় পুরসভার বিভিন্ন রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রী ফেলার অভিযোগ এসেছে। পুলিসকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।