পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পার্কিং বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, প্রায় এক বছর আগে কলকাতা পুলিসের তরফে এই মোবাইলগুলি পার্কিং লটের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের দেওয়া হয়েছিল। কলকাতা পুলিস এতদিন এই খরচ বহন করেছে। কিন্তু এবার থেকে তা পুরসভাই করবে বলে চূড়ান্ত হয়েছে। তবে ওই মোবাইল দিয়ে ওই কর্মীরা কতটা দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মেয়র পারিষদ বলেন, পুলিসের কাছ থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট অ্যাপ নিয়ে ভালোভাবেই কাজ করছেন তাঁরা।
সম্প্রতি এবিষয়ে পার্কিং বিভাগের মেয়র পারিষদের ঘরে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক হয়। তাতে পুলিসের তরফে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, এক বছর আগে ৬৯৩টি মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছিল। পার্কিং বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ওই মোবাইলগুলি দেওয়া পরই পুলিসের নজরদারিতে ধরা পড়ে, ওই অ্যাপ দিয়ে পার্কিং লটে গাড়ি ঢোকা-বেরনো যত না নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, তার থেকে বেশি নেট ব্যবহার হচ্ছে অন্যান্য কাজে। আবার কেউ কেউ ওই ফোনকে কথা বলার হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহার করেছেন। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মোবাইলগুলির বিল বাবদ প্রথম দিকে মাসে এক লক্ষ বা তার আশপাশে খরচ হয়েছে। অথচ, তারপরেও বেআইনি পার্কিংয়ের বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো বা পার্কিংয়ের বাইরে গাড়ি রেখে দেওয়ার প্রবণতা সেভাবে কমেনি। যত মাস এগিয়েছে, বিল বাবদ ব্যয়ও বেড়েছে। এরপরই গোটা বিষয়টিকে খতিয়ে দেখে পুলিস মোবাইলের সংখ্যাকে ৬৯৩ থেকে কমিয়ে ৪৩৬-এ নিয়ে আসে। চার মাস আগেও বিল এসেছে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার। এরপর ইন্টারনেট ব্যবহার সহ আনুষঙ্গিক সুবিধার উপরে রাশ টানে পুলিস। দেখা যায়, তাতে গত মাসে বিল আসে ৩৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। সম্প্রতি লালবাজার অ্যাপ বাবদ বিলের ব্যয়ভার পুরসভাকে নিতে বলে। যা নিয়ে আলোচনার পর পুরসভার পার্কিং বিভাগ তাতে সম্মত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়লে নতুন করে বছরে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ভার চাপবে পুরসভার কাঁধে। টাকার অভাবে নুইয়ে পড়া পুর কোষাগার এই বাড়তি ব্যয় কীভাবে বহন করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পার্কিং বিভাগের আধিকারিকদের কথায়, বিল বাবদ টাকা তাঁরা লটের দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সিকে না দিয়ে পুলিসকেই দেবেন। উল্টোদিকে, পুলিস তা নিতে রাজি নয়। তাদের দাবি, এব্যাপারে তাদের আর কোনও দায়িত্ব থাকবে না। পুরসভা ও এজেন্সি গোটা বিষয়টি দেখবে। সূত্রের খবর, পার্কিং বিভাগের তরফে এই বিল নিয়ে কলকাতা পুলিসকে দু’দিনের মধ্যেই চিঠি দেওয়া হবে।