রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ভাড়া বৃদ্ধির পর কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের আগের তুলনায় দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। তবে মেট্রোর ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ ভাড়া যথাক্রমে ৫ এবং ২৫ টাকাই রয়েছে। এবার দূরত্বের মাপকাঠিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাঁচ টাকা ভাড়ায় আগে যেখানে পাঁচ কিমি পর্যন্ত যাওয়া যেত, এখন সেখানে মাত্র দু’ কিলোমিটার যাওয়া যাচ্ছে। পাঁচ থেকে দশ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া ছিল ১০ টাকা। এবার দুই থেকে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে ১০ টাকা। আগে ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে ১৫ টাকার টিকিট কাটতে হতো। বর্তমানে পাঁচ থেকে দশ কিলোমিটার যাওয়ার জন্য ১৫ টাকা এবং ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার যাওয়ার জন্য ২০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, গত বুধবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাতালপথে সফর করেছেন মোট ৩,৭৮,৮০৭ জন। সেই জায়গায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাতালপথে সফর করেছেন ৩,৪২,৪৩৩ জন। গত বুধবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৩৯,০৫,১৯২ টাকা। সেই জায়গায় এদিন আয় হয়েছে ৪৪,২৫,২৮৬ টাকা।
মেট্রোর এক কর্তা বলেন, প্রথম দিকে যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমলেও আগামী দিনে পাতালপথে ভিড় বাড়বে আরও। কারণ, টালা ব্রিজ দিয়ে আগামী দিনে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। কাজেই তার জেরে পাতালপথে ভিড় বাড়বে। শুধু তাই নয়, প্রথম দিন যাঁরা পাতাল পথে সফর করলেন না, তাঁদেরও একটা বড় অংশ ফিরে আসবেন বলেই আশা করছি।
এদিন একাধিক স্টেশনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গিয়েছে, ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বড় কোনও ক্ষোভ না থাকলেও প্রায় প্রত্যেকেই পরিষেবা বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, কয়েক বছর পর পাতালপথে ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ায় এবার পরিষেবার মান বৃদ্ধি করা হোক। নন-এসি রেকের বদলে চালানো হোক এসি রেক। কাজের দিনের ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হোক। অনেকেই বলেছেন, অনেক সময়ে সূচি অনুযায়ী ট্রেন আসে না। সময়ে ট্রেন চালাতে নজরদারি বাড়াতে হবে কর্তৃপক্ষকে।