অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
অন্যদিকে, কয়েক সপ্তাহ বাদেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হবে। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই আসবেন রাজ্যপাল। সেক্ষেত্রে তাঁকে ঠেকাতে সরকার কোনও ব্যবস্থা নেবে কি না, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। কলকাতার সমাবর্তন হওয়ার কথা জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে। ডিলিট দেওয়া হবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সিন্ডিকেটে তা ঠিক হয়ে গিয়েছে। নিয়ম মতো এবার সেটি সেনেটে পাশ করাতে হবে। কিন্তু বুধবার সেই বৈঠক স্থগিত করা হয়। পরবর্তী দিন কবে ঘোষণা হবে, তা নিশ্চিত নয়। সবটাই নির্ভর করছে শিক্ষা দপ্তরের উপর। এক শ্রেণীর অভিযোগ, দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। তাই সরকারি জায়গায় রাজ্যপালকে এক প্রকার ‘বয়কট’ করারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই প্রভাব পড়ে বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও। কিন্তু সেনেট বৈঠক না হলে, সমাবর্তনও সঙ্কটে পড়ে যেতে পারে। যদিও এই নিয়ে এখনই ভাবতে চাইছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে নানা দিক খতিয়ে দেখছেন কর্তারা। প্রকাশ্যে কেউ কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও, বিষয়টি নিয়ে কিন্তু সকলেই বেশ ভাবিত। তাছাড়া বুধবার রাজ্যপালের পরিদর্শনের সময়ে কোনও আধিকারিক বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকায় রাজভবন থেকে কী বার্তা আসবে, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের মতে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের মাঝে পড়ে সমস্যায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। সরকারের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে রাজভবনের নিশানায় পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকেই। সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল যদি তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করে কোনও পদক্ষেপ করেন, তখন কী হবে?
এদিকে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুরে সমাবর্তন। রাজ্যপালই সেই অনুষ্ঠানের প্রধান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বা বিধানসভার ঘটনার পর সেখানে সরকারের কী মনোভাব হবে, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। এক আধিকারিকের মতে, রাজ্যপাল আসছেন সেটা ধরেই প্রস্তুতি চলছে। তাছাড়া সমাবর্তন তো রাজ্যপাল ছাড়া সম্ভবও নয়।