বিএনএ, বারাকপুর: দীর্ঘ নয় বছর পর বারাকপুর শহরে তৃণমূল-সিপিএমের সৌজন্যের রাজনীতি। নয় বছর ধরে দখলে থাকা সিপিএমের পার্টি অফিসটি বুধবার ফিরিয়ে দিল তৃণমূল। তালা খুলে সিপিএম নেতা তড়িৎবরণ তোপদারকে স্বাগত জানালেন বারাকপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান উত্তম দাস। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন গেরুয়াকে রুখতে এবার কি লাল আর সবুজ হাত ধরাধরি করছে? এই গুঞ্জন অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন শাসকদলের নেতারা।
বারাকপুর শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে চিড়িয়া মোড়ের কাছে শান্তিবাজার পোর্টব্লেয়ার লাইনে সিপিএমের একটি ওয়ার্ড কমিটির অফিস রয়েছে। ২০১১ সালে পালাবদল ঘটে। সেই সময় তৃণমূল কর্মীরা ওই পার্টি অফিসে সিপিএমের লাগানো তালা খুলে নিজেদের তালা লাগিয়ে দেয়। তৃণমূলের দাবি, ওই তালা লাগানোটুকুই হয়েছিল। তারপর ওই পার্টি অফিসে খুলে দলের কেউ কোনও দিন বসেনি। বা ওই পার্টি অফিস ব্যবহার করা হয়নি।
সিপিএমের সেই সময় বেশ কিছু পার্টি অফিস দখল করেছিল তৃণমূল। সেই তালিকায় ছিল ২১ নম্বর ওয়ার্ডের এই পার্টি অফিসটিও। সেই সময় সিপিএম নেতারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে পার্টি অফিস দখলের অভিযোগ তুলেছিলেন। নয় বছর আগের সেই অভিযোগের চড়া সুর এখন আর নেই সিপিএম নেতাদের। এখন সুর নরম।
সম্প্রতি সিপিএমের তরফে বারাকপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান উত্তম দাসের কাছে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের পার্টি অফিসটি ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। ওই আবেদনের ভিত্তিতে তৃণমূল পার্টি অফিসটি ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। বুধবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে পার্টি অফিসটি তুলে দেওয়া হয় সিপিএমকে। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএম নেতা তড়িৎ তোপদার।
যদিও রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন শাসকদলের নেতারা। তাঁরা বলেন, এটা নেহাতই সৌজন্য। বারাকপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান উত্তমবাবু বলেন, ২০১১ সালে পালাবদলের পর সিপিএমের ওই পার্টি অফিসে আমাদের দলের কেউ তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। তবে ওটা আমাদের কেউ কোনও দিন ব্যবহার করেনি। ওরা পার্টি অফিসটি ফেরতের আবেদন করেছিল। এদিন তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। সিপিএম নেতা তড়িৎবরণ তোপদার সাংবাদিকদের বলেন, অনেক পার্টি অফিসই ওরা ফিরিয়ে দিচ্ছে, এটাও ফিরিয়ে দিল।