গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যাদবপুরের পর কলকাতার টালিগঞ্জের চারু মার্কেট থানায় নতুন করে ১৩টি এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়েছে। পাশাপাশি, শহরের নেতাজিনগর ও কড়েয়া থানা এলাকায় দুটি পৃথক অভিযোগ এসেছে। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কলকাতা পুলিসের কাছে এই চারটি থানায় মোট ৫৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। খোয়া গিয়েছে মোট ১৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। লালবাজারের আশঙ্কা, অভিযোগের সংখ্যা এবং টাকার অঙ্ক দুই-ই বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দাদের পাঁচ সদস্যের দ্বিতীয় দলটি রাজধানী এক্সপ্রেসে চেপে দিল্লি রওনা দিল। উল্লেখ্য, অন্য একটি কাজে দিল্লিতে যাওয়া এই শাখার ওসি নীলকণ্ঠ রায়ের নেতৃত্বে গোয়েন্দাদের একটি টিম আগে থেকেই সেখানে রয়েছেন। এদিকে, এদিন কলকাতা পুলিস জেলবন্দি রোমানিয়ান নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে। এদিন এই বিষয় নিয়ে বিধানসভাতেও হইচই হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কলকাতার যাদবপুর, কড়েয়া এবং নেতাজিনগর থানার ওসির ভূমিকায় বিরক্ত লালবাজারের শীর্ষ কর্তারা। কেননা, রবিবার দিনভর যাদবপুর থানায় প্রতারিত ১২ জন গ্রাহক লিখিত অভিযোগ জানালেও সংশ্লিষ্ট ডিসি, কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান এবং ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার ওসিকে কিছুই জানায়নি ওই থানা। একই অভিযোগ রয়েছে কড়েয়া এবং নেতাজিনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে। অথচ, সোমবার সকাল থেকেই যাদবপুরে এটিএম জালিয়াতি নিয়ে শহরজুড়ে শোরগোল পড়ে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার যাদবপুরের এটিএম জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতার রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা। এই বৈঠকে উঠে আসে, শহরের অন্তত ২৫০টি এটিএমে নিরাপত্তা রক্ষী নেই। তবে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে পুলিসকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, সিংহভাগ এটিএমে ‘অ্যান্টি স্কিমিং ডিভাইস’ লাগানো হয়েছে। ফলে ওইসব এটিএমে জালিয়াতি করা অসম্ভব।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, যাদবপুরের সুলেখা মোড় এবং টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের দুটি এটিএমে কী করে এই জালিয়াতি হল? লালবাজার জানাচ্ছে, এই দুটি এটিএমেই ‘অ্যান্টি স্কিমিং ডিভাইস’ সুরক্ষা ছিল না। তারই সুযোগ নিয়েছে বিদেশি গ্যাং। ২০১৮ সালে গোলপার্কে রোমানিয়ান গ্যাংয়ের জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসার পর লালবাজার ব্যাঙ্কগুলিকে সুরক্ষা ব্যবস্থার সুপারিশ করেছিল। যার ৮৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। অসমাপ্ত কাজ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।