পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার পাইকারি বাজারে যে দাম হয়েছে, তাতে আজ, বুধবার খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম কত হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কোনও রাস্তা পাওয়া যাচ্ছে না। মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ প্রচুর কমে গিয়েছে। অন্যদিনের তুলনায় ২০ শতাংশ সরবরাহও আসেনি। সরবরাহ বাড়লে তবেই দাম কিছুটা কমবে। কিন্তু মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ— সব জায়গাতেই পাইকারি বাজারে ৮০-৮৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। সেখানকার খুচরো বাজারে পেঁয়াজ কেজিতে একশো পার করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি পাইকারি বাজারে ৪০ কেজি পেঁয়াজের বস্তার দাম কিছুটা কমে ২৪০০-২৬০০ টাকায় চলে এসেছিল। অনেক খুচরো বাজারেও দাম কমার কিছুটা প্রভাব পড়ে। ছোট সাইজের পেঁয়াজ অনেক বাজারে ৮০ টাকা ও বড় সাইজের ভালো মানের পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছিল। কিছু খুচরো বিক্রেতা অবশ্য পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাইকারি বাজারে দাম কমার পরও একশো টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার অধিকাংশ খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম অল্প বেড়েছে। ছোট সাইজের পেঁয়াজ ৯০ টাকার আশপাশে চলে এসেছে। কিন্তু বুধবার কী পরিস্থিতি দাঁড়ায়, এখন সেটাই দেখার।
রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার স্টলে অবশ্য এখনও ৫৯ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। সরকার ভর্তুকি দেওয়ার জন্য এই দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ালেও সুফল বাংলার দাম স্থিতিশীল রাখা হচ্ছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রথম দফার ২০০ টন পেঁয়াজ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতায় পৌঁছতে পারে। কিন্তু ওই পেঁয়াজ চাহিদা মেটানোর পক্ষে খুবই কম। সুফল বাংলার স্টলের বাইরে খুব বেশি জায়গায় দেওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফার আমদানি করা পেঁয়াজ আসতে জানুয়ারি মাস পড়ে যাবে। তার অনেক আগেই কিছুদিনের মধ্যে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক থেকে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে বলে ব্যবসায়ী মহলের আশা। সেরকম ইঙ্গিতই ওই রাজ্যগুলি থেকে আসছে। নতুন পেঁয়াজ বেশি পরিমাণে এলেই কমবে দাম।