পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতা বধূর নাম রীতা ঘোষ (৪৫)। তাঁর স্বামীর নাম পিন্টু ঘোষ। বাড়ি শীতলামাতা লেনেই। তাঁদের এক মেয়ে রয়েছে। তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পিন্টু পেশায় আগে ফল বিক্রেতা ছিল। তবে গত চার মাস হল একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিন্টুর পৈতৃক বসত ভিটেতে বহুতল আবাসন গড়ে উঠেছে। সেই আবাসনেই গত দুই মাস হল স্ত্রীকে নিয়ে থাকত সে। প্রায় প্রতিদিন পিন্টু মদ্যপান করত। এই মদ্যপান নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা বাধত।
সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল পিন্টু। রাতেও বাড়ি না ফেরায় স্ত্রী স্বামীকে খুঁজতে বের হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রাতঃভ্রমণকারীরা দেখেন শীতলামাতা লেনের পুকুরের স্নানঘাটে বধূর দেহ অর্ধেক জলে ও অর্ধেক উপরে রয়েছে। ঘাটেই মদ্যপ অবস্থায় বসে রয়েছে তাঁর স্বামী। খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিস এসে বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিস সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ওই বধূর। দেহে কোথাও ক্ষত নেই। বধূর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, জলে ডুবিয়ে খুন করা হয়েছে মেয়েকে। মদ খেয়ে প্রায়শই অত্যাচার চালাত। মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করতেন। একারণেই জলে নামিয়ে খুন করা হয়েছে। বরানগর থানার পুলিস জানিয়েছে, খুনের লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিষ্কার হবে পুরো ঘটনা। শীতলামাতা লেন এলাকার বাসিন্দা তথা বরানগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অঞ্জন পাল বলেন, পিন্টু প্রায়শই মদ্যপান করে থাকত। স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলাও হত। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমেছে।