কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বেশ কিছুদিন ধরে শুল্ক দপ্তরের অফিসাররা খবর পাচ্ছিলেন, সৌদি বা দুবাইতে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে যাঁরা কাজে গিয়েছেন, তাঁদের কয়েকজনকে সোনা পাচারে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিমানে ওঠার সময় সোনার চোরকারবারে যুক্ত ব্যক্তিরা সোনা ভর্তি ব্যাগ তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছে। কলকাতায় তা সংগ্রহ করে নিচ্ছে এখানকার এজেন্টরা। যে কারণে দুবাই, সৌদি বা কুয়েত থেকে আসা ব্যক্তিদের উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছিল। শুল্ক দপ্তরের অফিসারদের কাছে খবর ছিল, দুবাই ও রিয়াধ থেকে দুটি বিমানে উঠেছে ছয়জন। তাদের কাছে সোনা ভর্তি ব্যাগ রয়েছে। সোর্স কাজে লাগিয়ে তাদের নাম জোগাড় করা হয়। কোন সংস্থার বিমানে উঠেছে এবং সিট নম্বর কত, সেই তথ্যও চলে আসে তাঁদের হাতে। সোমবার রাতে ছয়জন দুটি আলাদা আলাদা বিমানে কলকাতা বিমানবন্দরে নামে। ব্যাগ যাতে স্ক্যান না হয়, সেজন্য গ্রিন চ্যানেল দিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় তাদের আটক করা হয়। দেখা যায়, কনসিলড ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিংয়ের কায়দায় ব্যাগের চেনের নীচে ইলেকট্রিক তারের মতো সোনার তার লাগানো রয়েছে। তার উপরে আবার সাদা কিছু রাসায়নিক লাগানো রয়েছে। সোনা আনার এই নতুন কৌশল দেখে কিছুটা আশ্চর্য হয়ে যান তদন্তকারী অফিসাররা। সকলের ব্যাগেই একইভাবে সোনা রাখা ছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ১১ কেজি সোনা। গ্রেপ্তার করা হয় ছয়জনকে। তারা বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, দুবাই ও রিয়াধ বিমানবন্দরে ধৃতদের হাতে এই ব্যাগগুলি দিয়ে যায় সেখানকার এক ব্যক্তি। সঙ্গে দেওয়া হয় দু’জনের ছবি। তাদের হাতে ব্যাগগুলি তুলে দিতে বলা হয়। বিমানবন্দরের বাইরে ওই দুই ব্যক্তির অপেক্ষা করার কথা ছিল। ব্যাগের মধ্যে যে সোনা আছে, তা তাদের জানা ছিল না বলে ধৃতরা শুল্ক দপ্তরের অফিসারদের কাছে দাবি করেছে। যদিও তাদের কথা মেনে নিতে রাজি নন তাঁরা। আধিকারিকরা জেনেছেন, এভাবে যারা চোরাই সোনা ভারতে নিয়ে আসছে, তারা কমিশন বাবদ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পাচ্ছে। দুবাই ও কলকাতায় কেরিয়ার হিসেবে কাজ করা ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ‘কনসাইনমেন্ট’ দেওয়ার সময় কোনওভাবেই পাচারকারীরা মোবাইল ব্যবহার করছে না। হাতে থাকা ছবি দেখে একে অন্যকে চিনে নিচ্ছে। আসলে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশেন চিহ্নিত করে যাতে অফিসাররা চোরাকারবারিদের কাছে পৌঁছতে না পারেন, সেজন্য এই কৌশল নিয়েছে তারা। বিদেশে কারা এই কাজে যুক্ত, ধৃতদের মাধ্যমে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।