গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মঙ্গলবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বাড়ির সামনে পড়শিদের জটলা। ওই ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এটা মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। প্রতিবেশী পাকু দাস জানালেন, আমাদের মনে হয় ৬-৭ দিন ধরে শবদেহ বাড়ির ভিতরে ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে আমরা পচা গন্ধ পাচ্ছিলাম। ওই ব্যক্তিকে কয়েক দিন ধরে এলাকায় দেখছিলাম না। ওঁরা কারওর সঙ্গে মেশেন না। কথা বলতে গেলে দুর্ব্যবহার করে বলে আমরাও কিছু জিজ্ঞাসা করতাম না। আরেক প্রতিবেশী রীতা হোড় জানান, আমরা ৩-৪ দিন ধরে গন্ধ পাচ্ছিলাম। কালকে দেখলাম পুলিস এসেছে। তারপরেই বিষয়টি জানাতে পারলাম। ওঁদের আরও ভাই, বোন রয়েছেন। কাছেই তাঁদের এক আত্মীয়ও থাকেন। কিন্তু, পূর্ণিমাদেবী কারও সঙ্গে কথাই বলেন না।
আরেক প্রতিবেশী জানান, পচা গন্ধ পাওয়াতে পূর্ণিমাদেবীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, কুকুর মারা গিয়েছে। এদিন দেখা গেল, পুরনো বাড়ির দেওয়ালে চটা উঠে গিয়েছে। জানলাগুলি চট, নাইলনের সরু জাল দিয়ে ঘেরা। বাড়িতে দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট। ভিতর থেকে সব বন্ধ করা। বাড়ির সামনে কয়েকটি গাছ লাগানো রয়েছে। আশেপাশে দুর্গন্ধ ঢাকতে এদিন ব্লিচিং ছড়ানো রয়েছে। বাড়ির দোতলার ছাদে বসেছিলেন পূর্ণিমাদেবী। নীচে থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় দাদার মৃত্যু কীভাবে হল? তাতে তিনি অসংলগ্ন কথা বলে জবাব দেন, কারা দু’জন এসে সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার জন্য দাদাকে কী একটা খাইয়ে দিয়ে গেল। আমি দাদার ট্রিটমেন্ট করছিলাম। এর বেশি তিনি অবশ্য কোনও কথা বলতে চাননি। শেষে তিনি বলেন, আমাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিস। পরে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমি আজ কিছু খাইনি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ণিমাদেবীকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।