বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছ’য়েক আগে থেকেই জয়রামবাটির এক তরুণীর সঙ্গে সোনারপুরের বনহুগলির বাসিন্দা এক যুবকের বিয়ের আয়োজন চলছিল। ওই দু’জনের মধ্যে রেজিস্ট্রি বিবাহ সম্পন্ন হয় ছ’মাস আগে। পাত্রীর এক আত্মীয়ের কথায়, পাত্র ২০ হাজার টাকা পণ চেয়েছিল। তা দিতে রাজিও হয়ে যাই আমরা। এরপর কিছুদিন আগে পাত্রপক্ষের তরফে জানানো হয়, ২০ হাজার টাকায় হবে না। আরও টাকা চাই। আমাদের বাড়ির তরফে আলোচনা করে আরও পাঁচ হাজার টাকা বেশি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তাতেও পাত্রপক্ষের মন খুশি করা যায়নি। নানা অছিলায় পাত্রপক্ষ একাধিক জিনিসপত্র চাইতে থাকে। এদিকে, রবিবার বিয়ের দিন সকালে পাত্রপক্ষের তরফে আমাদের জানানো হয়, ব্রাহ্মণ পাচ্ছে না তারা। তাই বিয়ে করতে আসতে পারবে না। আমরা বলি, একথা কেন শেষ সময়ে তারা বলছে। আগে বলতে পারত। এরপর এও বলি, আমরাই ব্রাহ্মণ ঠিক করে দেব। তারা যেন ১০টায় বিয়ের লগ্নের মধ্যে চলে আসে। কিন্তু রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ পাত্রপক্ষ আসে। পাত্রের লোকজন অত রাতে নাচ-গান করতে চেয়েছিল বলে পড়শিরা জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি পাত্রীপক্ষ। তাতে গাড়ি থেকে নামতে দিতে চাইছিল না পাত্রপক্ষের লোকজন। যা নিয়ে বচসা হতেই শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব। টেবিল-চেয়ার ভাঙতে থাকে। মণ্ডপও ভেঙে ফেলা হয়। পাত্রীপক্ষের অভিযোগ, পাত্র লাথি মারে পাত্রীর বুকে। তুমুল তাণ্ডবে অশান্ত হয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। স্থানীয়রা ছুটে আসে। তাতেই ভয় পেয়ে পাত্রপক্ষের লোকজন পালায়। কিন্তু বর সহ আটজন ধরা পড়ে যায়। বর পরে বিধ্বস্ত অবস্থায় স্বীকার করেন, তাঁর বাড়ির লোকজন মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব চালিয়েছে। বিয়ে ভেস্তে দিতে চেয়েছিল তাঁর বাড়ির লোকজন। তিনিও বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছেন। যা অত্যন্ত অন্যায়। তবে পাত্রীকে লাথি তিনি মারেননি।