কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আদালত সূত্রের খবর, গত ৫ জুন সকাল দশটা নাগাদ মানিকতলা থানার হরিশ নিয়োগী রোডে একটি ক্লাব ঘরের ভিতর হুগলির আদি সপ্তগ্রামের বাসিন্দা অশোক কর্মকারকে (৫০) পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, ধৃতরা হকি স্টিক, উইকেট, বাঁশ প্রভৃতি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে মৃতদেহটি ক্লাবঘরেই ফেলে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে মানিকতলা থানার পুলিস এসে ওই ব্যক্তিকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে অশোকবাবুর বোন হাসপাতালে গিয়ে দাদার মৃতদেহ শনাক্ত করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার আশিস বসু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শিয়ালদহ কোর্টে চার্জশিট পেশ করেন। সেখানে অপহরণ, হত্যা প্রভৃতি ধারায় অভিযোগ এনে ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। এদিকে, ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই অভিযুক্ত পাঁচজন একে একে ধরা পড়ে। তারা সকলেই উল্টোডাঙার বাসিন্দা। ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, মৃতদেহের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এলোপাথারি মারার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
সরকারি আইনজীবী জানান, এই মামলায় নথি হিসেবে সিসিটিভি’র ফুটেজ পেশ করা হয়েছিল। মোট চারজন বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। কোর্ট সূত্রের খবর, এই মামলায় মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৩৪। এদিকে, পুলিস প্রথমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। পরে পুলিস তদন্ত করে জানতে পারে, অশোক কর্মকারকে মারার আগে অন্য জায়গা থেকে তাঁকে মোটর সাইকেলে করে তুলে আনা হয়েছিল। অভিযোগ, ওই ক্লাব ঘরে তাঁর উপর প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে অত্যাচার চালানো হয়। তাই পরবর্তী সময় এই মামলায় অপহরণের অভিযোগও দায়ের করা হয়। দায়রা বিশেষজ্ঞ জগদীশচন্দ্র মজুমদার বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুলিস একটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পরবর্তী সময় ঘটনার গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী অন্যান্য ধারা সংযোজিত হয় বা পরিবর্তন ঘটে। এমনকী চার্জশিটেও তার প্রতিফলন পড়ে। এই মামলার ক্ষেত্রেও এই ঘটনা ঘটেছে।