রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পরিকাঠামোয় নজর দেওয়ার পরেও পরিস্থিতির তেমন কোনও বদল হয়নি। রাজস্ব আদায়ও তলানিতে। সম্প্রতি সিএজি’র রিপোর্টেও একথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে বিনোদন কর বিভাগ। কলকাতা পুরসভার এই বিভাগ রাজস্ব আদায়ের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হলেও বর্তমানে সেটি গুরুত্ব হারিয়েছে। এই অবস্থায় বিভাগের দায়িত্ব নিয়ে শক্ত হাতে ধরার চেষ্টা করছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। সম্প্রতি সিএজি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর বিভাগীয় কর্তা-আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন অতীনবাবু। সেখানেই ঠিক হয়, হোটেল, ক্লাব, রেস্তরাঁ, ব্যাঙ্কোয়েট থেকে বিনোদন কর আদায়ের বিষয়টি। বিভাগীয় কর্তাদের কথায়, শহরে বহু রেস্তরাঁ বা ব্যাঙ্কোয়েট রয়েছে, যারা লক্ষ লক্ষ টাকা বিনোদন কর বকেয়া রেখে দিয়েছে। বকেয়া চেয়ে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও রেস্তরাঁ ও ব্যাঙ্কোয়েটের কর্তারা তাকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেননি। যেকারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের কথায়, আমি বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখেছি, কোটি কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এতদিন এই বিভাগটিকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। বিনোদন কর আদায়ের ক্ষেত্রে পুর আইনে যা যা বলা আছে, তা মেনে যতটা সম্ভব কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলাম পুর কমিশনারকে। এরপরই পুরসভার মুখ্য আইনজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেন পুর কমিশনার। অবশেষে সোমবার এব্যাপারে পুরসভার আইন বিভাগ ছাড়পত্র দিয়েছে।
বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার থেকে কত টাকা বকেয়া রয়েছে, তার একটি তালিকা তৈরি করা হবে। এরপর আইনি নোটিসের সঙ্গে সেই টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে। টাকা না মেটালে সেখানে কোনও অনুষ্ঠান করার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।
সিএজি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০১৪-’১৫ সাল থেকে ২০১৬-’১৭ সাল, এই তিন বছরের বিনোদন করের বকেয়ার হিসেব এবং ডিমান্ড নোটিস কম্পিউটার থেকে মুছে ফেলায় পুর কোষাগারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বকেয়ার অঙ্ক এবং ডিমান্ড নোটিস (ব্যাড ডিমান্ড) করদাতাদের কাছে না পাঠানোয় প্রায় ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার ডিমান্ড নোটিস কোনও কারণ ছাড়াই হিসেবের খাতা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে, ১০ বছর বা তার থেকে বেশি সময় ধরে বকেয়া থাকা ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা আদায় করতে পারেনি পুর প্রশাসন।