বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে একদল ছাত্রী হীরালাল মজুমদার স্মৃতি মহিলা কলেজে তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়ে কার্যত তাণ্ডব চালায়। ভাঙচুর করা হয় অধ্যক্ষার অফিসের সামনের কার্যালয়। দীর্ঘক্ষণ অধ্যক্ষা ঘেরাও থাকেন। বিক্ষোভকারীরা অশিক্ষক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিল। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আন্দোলনে নামেন কলেজেরই অন্য একদল ছাত্রী। তাঁরা সকাল ১১টা থেকে কলেজে হাতে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দুপুরের পর পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আসে কলেজে। তাঁদের সামনেই বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীরা। পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল ও কলেজের পরিচালন সমিতি বৈঠক বসে। বৈঠকে হাজির হন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। এদিনের বিক্ষোভকারীদের পক্ষে প্রথম বর্ষের ছাত্রী অনিন্দিতা চক্রবর্তী বলেন, কলেজের মধ্যে তাণ্ডব, ভাঙচুরকে আমরা সমর্থন করছি না। এই ঘটনার পর কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকারা কলেজে আসতে ভয় পাচ্ছেন। পুলিস নিয়ে কলেজে ঢুকছেন। অশিক্ষক কর্মচারীরা শ্লীলতাহানি করতে পারেন? তাঁরাও আতঙ্কিত। আমাদের দাবি, যারা ভাঙচুর করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এবং ওরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চাক।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাজিরা নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কড়া হওয়ায় একদল ছাত্রী ফি বৃদ্ধির অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালিয়েছে। বহু ছাত্রী কলেজে আসেন না। কারও কারও উপস্থিতির হার শূন্য বা ১০ শতাংশ। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে, তবেই পরীক্ষায় বসতে পারবে। এই নির্দেশিকা কলেজ কর্তৃপক্ষ দিতেই ছাত্রীরা আন্দোলনে নেমে ভাঙচুর চালায়।
কলেজের অধ্যক্ষা সোমা ঘোষ বলেন, মঙ্গলবার যারা ভাঙচুর করেছে, তারা ছাত্রী সুলভ আচরণ করেনি। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিচালন সমিতির বৈঠক চলছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কলেজের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, অশিক্ষক কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। ছাত্রীদের কোনও অভিযোগ থাকলে অভিযোগ সেলে জানতে পারত। ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ জানানো হবে কি না, তা এদিন বৈঠকে আলোচনা হবে।