কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ইডি জেনেছে, গৌতম কুণ্ডুর স্বর্ণবিপণি সংস্থা দেখভাল করতেন তাঁর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডু। চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর রোজভ্যালিতে আমানতকারীদের গচ্ছিত রাখা বিপুল অর্থ এই সংস্থায় সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী এই টাকা হাওলার মাধ্যমে বিদেশে নিয়ে গিয়ে তা দিয়ে সোনা কিনে দেশে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও অভিযোগ আসে। যার তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। প্রথমে ইডি এই বিষয়টি নিয়ে কাগজপত্র সংগ্রহ করেনি। অভিযোগ ছিল, রোজভ্যালিকাণ্ডে প্রাক্তন তদন্তকারী অফিসার মনোজ কুমারের সঙ্গে শুভ্রার সুস্পর্কের কারণেই তদন্তের পরিধি থেকে স্বর্ণবিপণি সংস্থাটিকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ঘুরপথে এখানে টাকা ঢুকলেও তা নিয়ে তদন্তই করা হয়নি। এমনকী স্বর্ণবিপণি সংস্থাগুলি বন্ধও করা হয়নি। এতদিনে এই বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে দেখা যাচ্ছে, রোজভ্যালির টাকাতেই ফুলেফেঁপে ওঠে এই সংস্থা। এমনকী রোজভ্যালি কর্তা চিটফান্ডকাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়ার পর রাতারাতি স্বর্ণবিপণি সংস্থার ডিরেক্টর পদেও বদল ঘটানো হয়। গোটাটাই গৌতম কুণ্ডুর পরামর্শ মতো করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, রোজভ্যালির বিপুল পরিমাণ টাকা হাওলার মাধ্যমে দুবাইতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে একাধিক সংস্থায় ঘুরিয়ে তা দিয়ে সোনা কিনে দেশে নিয়ে আসা হয়। এই সোনা দিয়ে অলঙ্কার তৈরি করে স্বর্ণবিপণি সংস্থায় রাখা হত। যেভাবে আমানতকারীদের টাকা ঘুরপথে বাইরে বের করে নিয়ে এসে সোনায় রূপান্তরিত করা হয়েছে, তা দেখে রীতিমতো অবাক ইডির তদন্তকারী অফিসাররা।
এই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই ইডির একটি টিম যাদবপুর এলাকার একটি অভিজাত আবাসনে হানা দেন। এখানেই থাকেন শুভ্রাদেবী। কিন্তু এদিন বাড়িতে ছিলেন না রোজভ্যালি কর্তার স্ত্রী। তাঁর পরিচারিকা ইডি আধিকারিকদের জানান, শুভ্রাদেবী কলকাতার বাইরে রয়েছেন। সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রীকে তলব করে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি আসেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে। এদিকে এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে শুভ্রাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
ইডির অন্য একটি টিম রোজভ্যালির সংস্থা ব্র্যান্ড ভ্যালু কমিউনিকেশনের এক পদস্থ কর্তার বাড়িতে হানা দেয়। অফিসাররা জেনেছেন, এই সংস্থাও দেখভাল করতেন শুভ্রা কুণ্ডু। রোজভ্যালির টাকা ঘুরপথে এখানেও এসেছে বলে অভিযোগ। যার পুরোটাই ওই কর্তা ও গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী জানতেন বলে দাবি অফিসারদের। শুধু তাই নয়, রোজভ্যালির বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অন্যের নামে হস্তান্তর ও হাতবদল করার ক্ষেত্রেও ওই কর্তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে জেনেছেন তাঁরা। যে কারণে রোজভ্যালির বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির এখনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। নিউটাউনে ওই কর্তার বাড়ি থেকে মিলেছে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র। এর সঙ্গে মালদহ এবং হাওড়া সহ মোট ২৪টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানেও রোজভ্যালির বেশ কিছু বেনামি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।