বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সেই সঙ্গে ডিসেম্বর মাস থেকে যাতে ৫৭ বছরের পুরনো এই ব্রিজটি ভাঙার কাজ শুরু করা যায়, তার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে পূর্ত দপ্তর। রেল লাইনের উপরে ব্রিজের যে অংশ রয়েছে, সেই অংশ রেল ভাঙবে কি না, তা চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, দ্রুতগতিতে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই কাজ হোক। জানুয়ারি মাসের মধ্যে এটি ভেঙে ফেলে নতুন করে তা তৈরির কাজ শুরু হোক। কিন্তু টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা রয়েছে বলে মনে করছেন পূর্ত দপ্তরের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা। এ ব্যাপারে নবান্নে এক দফা বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে রেল, সিইএসসি, কলকাতা পুরসভা, বিভিন্ন মোবাইল সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন।
সেখানে ইউটিলিটি শিফটিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সিইএসসি’র কেবল লাইন, জলের পাইপ লাইন ছাড়াও বিভিন্ন মোবাইল সংস্থার কেবলও মাটির তলা দিয়ে গিয়েছে। সেই সব সরানো না হলে টালা ব্রিজ ভাঙার ক্ষেত্রে খুব সমস্যা হবে। ওই সব লাইন ওই অবস্থায় রেখে ব্রিজটি ভাঙতে গেলে বড়সড় বিপদ হতে পারে। সেই সঙ্গে বিকল্প রাস্তা তৈরিতে টালা ব্রিজের পশ্চিম দিকে একটি লেভেল ক্রসিং করা দরকার বলে পূর্ত দপ্তরের কর্তারা মনে করেন। এর জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন পূর্ত দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা। কিন্তু লেভেল ক্রসিং করার ব্যাপারে এখনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। তবে কীভাবে ভাঙার কাজ শুরু করা যায়, সেই পরিকল্পনা তৈরি করতে আগামী ২৮ নভেম্বর যৌথভাবে পরিদর্শন করবেন পূর্ত দপ্তর, সিইএসসি, রেল, কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা।
তবে নতুন ব্রিজ কেমন হবে, তার একটি নকশাও তৈরি করেছেন পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। তবে তা অনুমোদন করবেন ওই দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা। এক্ষেত্রে রেলেরও অনুমোদন দরকার। প্রয়োজনে রেল তার নিজের অংশটুকুর বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করবে। এই কাজে দেরি হলে তার দায় রেলকে নিতে হবে। যেমন নির্ধারিত সময়ে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় রেল ও পূর্তদপ্তর একে অপরকে দোষারোপ করছে। টালা ব্রিজের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে যাতে সেই সুযোগ না থাকে, তাই রেল ও পূর্ত দপ্তরের দায়িত্বকে নির্দিষ্ট করে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চান, ভাঙার এক বছরের মধ্যে ব্রিজটি তৈরি হোক। এই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় বিপদে পড়েছেন পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা।