উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে ওই সময়ে যাঁরা দাঁড়িয়ে দেখছিলেন এই দৃশ্য, তাঁদের কথায়, ঘড়িতে তখন বেলা তিনটে। সাততলা বাড়ির ছ’তলা থেকে বৃষ্টির মতো রাস্তায় এসে পড়ছে নোট। তারপর বান্ডিল। কয়েক মিনিটের মধ্যে নীচে জড়ো হন অসংখ্য মানুষ। শুরু হয় টাকা কুড়ানো। যে ব্যক্তি উপর থেকে টাকা ছড়াচ্ছিলেন, তাঁর মুখ নাকি ঢাকা ছিল, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
মণীশ জৈন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানালেন, তাঁরা প্রথমে শোনেন, এলাকায় আগুন লেগেছে। শুনেই ছুটে আসেন। দেখেন নোট উড়ছে, উড়ে আসছে টাকার বান্ডিল। নোটগুলি দু’হাজার আর পাঁচশোর। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকানির কথায়, হঠাৎই দেখি, আমার দোকান থেকে কিছুটা দূরে একটা ৫০০ টাকার নোট এসে পড়ল। একটা ছেলে তা কুড়িয়েও নিল। উপরের দিকে তাকাতেই দেখি, আমার দোকানের পাশের গাছটায় ৫০০ টাকার নোটের একটা বান্ডিল আটকে রয়েছে। তা থেকে খুলে খুলে পড়ছিল নোটগুলি। এরপরই চলে এল পুলিস।
ওই বহুতলের নীচেই কয়েকটি দোকান রয়েছে। সেখানকার দোকানদারদের কথায়, প্রথমে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল পড়তে দেখেছি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আরও টাকার বান্ডিল পড়তে থাকে। খবর পেয়েই চলে আসে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস। তারা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে। টাকার বান্ডিল যাঁরা পেয়েছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা।
জানা গিয়েছে, ওই বহুতলে একাধিক অফিস রয়েছে। সেখানে ছ’তলার এক অফিসে বুধবার তল্লাশিতে আসেন ডিরেক্টর অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) আধিকারিকরা। কমার্শিয়াল ফ্রড বা বাণিজ্যিক জালিয়াতি এই অফিস থেকে হচ্ছে বলে তাঁদের কাছে খবর ছিল। তাঁরা আসার সঙ্গে সঙ্গেই এক ব্যক্তি শৌচাগারে চলে যান। তিনিই টাকার বান্ডিল ফেলতে শুরু করেন শৌচাগারের জানালা দিয়ে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভুয়ো আমদানি-রপ্তানি দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা জালিয়াতি করেছে এই সংস্থা। কোনও পণ্যই পাঠানো হয়নি বিদেশে। অথচ টাকার লেনদেন দেখানো হয়েছে। এজন্য ভুয়ো বিলও তৈরি করা হয়েছে। এভাবে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এমনকী নগদ অর্থ হাওলার মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলেও সন্দেহ তদন্তকারীদের। এরপর একাধিক সংস্থার সঙ্গে ভুয়ো লেনদেন দেখিয়ে সেই টাকা ফিরিয়ে এনেছে দেশে। এমনকী এখানকার কাগুজে কোম্পানির মাধ্যমেও টাকা ঘোরানো হয়েছে বলে ডিআরআই সূত্রে খবর। এখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ নথি, কম্পিউটার সহ বিভিন্ন সামগ্রী।