পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস অজয় রায় নামে সেই টোটোর চালককে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর গাফিলতির কারণেই এই দুর্ঘটনাটি হয়েছে, সেই মর্মে অজয় রায়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ টোটোতে করে এনকেডিএ’র বাজারে গিয়েছিলেন স্থানীয় খালপাড়ের বাসিন্দা অজয়। সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান এবং স্ত্রীও ছিলেন।
ঘটনার সময় অজয়বাবু এবং তাঁর স্ত্রী বাজারের ভিতর জিনিসপত্র কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, অজয়বাবু টোটোর চাবি বন্ধ করতে ভুলে যান। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। তাঁর পাঁচ বছরের কন্যা কোনওভাবে সেই টোটোটিকে চালিয়ে ফেলে। চালানোর পর ভয়ে চিৎকার করলেও, সে টোটোকে থামাতে পারেনি। যতক্ষণে টোটোটি থামে, ততক্ষণে সেটির চাকার তলায় চাপা পড়ে যায় স্থানীয় আবাসনের আড়াই বছরের শিশু আয়ূশ রায়চৌধুরী। শিশুটির মা মমতা রায়চৌধুরী এদিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি সকালে বড় ছেলে পীযূষ রায়চৌধুরীকে স্কুল বাসে তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় যখন বাজারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন সেখানে টোটোটি পার্ক করা ছিল। টোটোর উপর একটি পাঁচ-ছয় বছরের মেয়ে বসে খেলছিল, সেটাও তিনি দেখেছিলেন। কিন্তু, তখনও তিনি বুঝতে পারেননি, এরকম কিছু ঘটতে চলেছে। তিনি আরও জানান, সেই সময় আচমকাই টোটোটির হর্ন শুনতে পান। ঘুরে দেখার আগেই, টোটোটি তাঁকে ধাক্কা মারে। পরে গিয়ে তিনি কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেন।
জ্ঞান ফেরার পরই তিনি তাঁর আড়াই বছরের ছেলেকে খুঁজতে থাকেন। দেখতে পান, অদূরে টোটোর পিছনের চাকার তলায় আটকে রয়েছে তাঁর ছেলে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি মারা গিয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে রায়চৌধুরী পরিবার। শিশুটির বাবা বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী একটি নামকরা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় বড় পদে কর্মরত। তিনি জানিয়েছেন, আড়াই বছর আগে মুম্বইয়ের থানে থেকে এখানে থাকার জন্য তাঁরা এসেছিলেন। সেই সময় দেড় মাসের ছিল ছোট্ট আয়ূশ। এদিন যা ঘটল, তাতে তাঁদের আর কিছু বলার নেই।