উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বিগত কয়েক মাসে কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্ক দপ্তর। যার বেশিরভাগটাই এসেছে কোরিয়া, তাইল্যন্ড, হংকং থেকে। ধরাও পড়েছে একাধিক চোরাচালানকারী। শুল্ক ছাড়াই এই সিগারেট দেশে ঢুকে পড়ায় সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। এমনকী বিদেশ থেকে আসা এই সিগারেটের ওপর বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ লেখাও থাকছে না। শুল্ক ফাঁকি আটকাতেই দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে ব্যাপক হারে ধরপাকড় চালানোর। উত্তর পূর্ব ভারতে এই বিদেশি সিগারেট আসার পর শিলিগুড়ি হয়ে তা কলকাতায় আসছে।
কিন্তু কেন বিদেশি সিগারেটের চাহিদা বাড়ছে তার তদন্তে নেমে শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পারছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় এর বড় বাজার তৈরি হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ে এর চাহিদা বাড়ছে ব্যাপকভাবে। বিশেষত মহিলারাই এর বড় ত্রেতা। যে কারণে চোরকারবারে যুক্ত ব্যবসায়ীরা উৎসাহ পেয়ে গিয়েছে। দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার কারবার হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত অফিসাররা জানতে পারছেন, একাধিক হাত ঘুরে তা ভারতে আসছে। তবে সরাসরি তা দিল্লি-মুম্বই বা অন্য শহরে পাঠানো হচ্ছে না। কলকাতায় একাধিক গোডাউন ভাড়া নেওয়া হয়েছে বিদেশি সিগারেট রাখার জন্য। এখানকার একাধিক ব্যক্তি এই কারবারে যুক্ত। তাদের সঙ্গে অন্য রাজ্যে চোরাচালানে যুক্ত ব্যক্তিদের যোগাযোগ রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই তা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। বিদেশ থেকে এভাবে সিগারেট আসা বন্ধ করাই এখন চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই কারবারে যুক্ত বড় মাথাদের ধরা যাচ্ছে না। তারা আড়ালে থেকেই গোটা ব্যবসা চাসিয়ে যাচ্ছে। এখানে কারা কারা চোরাপথে বিদেশ থেকে সিগারেট নিয়ে এসে অবৈধ কারবার চালাচ্ছে, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা।