কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপির অভিযোগ, ওই নকল তেল তৈরির কারবার ব্লকের এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার পোলট্রি ফার্মে হত। ওই নেতাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, খাড়ু গ্রামে নকল নারকেল তেল তৈরির অভিযোগ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা নকল তেল তৈরির কাজে যুক্ত। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের মূল মাথা কে রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই দেশের এক নামকরা কোম্পানির নারকেল তেল নকল করে আমডাঙা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিক্রি হচ্ছিল। ওই কোম্পানির তরফে সম্প্রতি পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিন দুপুরে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক ও আমডাঙা থানার পুলিস সাধনপুরের খড়ু গ্রামে যায়। সেখানে এক পোলট্রি ফার্মে নকল নারকেল তেলের ব্যবসা ফাঁদা হয়েছিল। সেই ফোলট্রি ফার্ম ও এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে পুলিস প্রায় ৬০০ লিটার তেল, বিপুল পরিমাণ নামি কোম্পানির নারকেল তেলের খালি বোতল ও নকল লেভেল উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই ঘটনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। পুলিস নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে খাড়ু গ্রামে অভিযান চালাতে যায়। এই নকল চক্রের মাথা কে তা পুলিসের অজানা নয়। তা সত্ত্বেও পুলিস মূল অভিযুক্তকে আড়াল করতে চাইছে।
বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি জয়দেব মান্না বলেন, এই নকল তেলের কারবার দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। ওই নামকরা কোম্পানি অভিযোগ করার পরে পুলিস ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। এই চক্রের মূল পাণ্ডা ব্লকের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। সেকারণেই শাসকদলের নেতাদের পরিকল্পনা মাফিক পুলিস ওই নেতাকে বাঁচাতে চাইছে। মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান বলেন, নকল তেল উদ্ধারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও নেতা বা কর্মী জড়িত নন। বিজেপি অহেতুক রাজনীতি করতে এমন মিথ্যে অভিযোগ করছে।