বিএনএ, বারাসত: মঙ্গলবার বুলবুল বিধ্বস্ত সন্দেশখালি ১ ও ২ ব্লক পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রশাসনিক বৈঠক করেন জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। ত্রাণ বিলি নিয়ে দুর্নীতি রোধ, এলাকার পুনর্গঠন সহ নানান বিষয়ে এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রতিনিধিদলে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারাদ সহ অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষ, জেলার বিভিন্ন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রিক দপ্তরের আধিকারিকরা রয়েছেন। সোমবার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কালীতলা, গোবিন্দকাটি, যোগেশগঞ্জ ও সামসেরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা পরিদর্শন করেন। কালীতলা এলাকার সামসেরনগর হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মাঠে জল জমে থাকার সমস্যার কথা প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন। এছাড়া বিদ্যুতের সমস্যা, ত্রাণের অপ্রতুলতার কথাও প্রতিনিধি দলের সদস্যদের জানান এলাকার বাসিন্দারা।
সোমবার রাতে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সন্দেশখালি ২ ব্লকের প্রশাসনিক বৈঠক করেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্দেশখালির আতাপুর, মণিপুর, পুকুরিয়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শনের পর প্রশাসনিক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মণ্ডল, সেচ দপ্তরের বসিরহাট ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আশিস দত্ত সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক ও অন্য সদস্যরা ছিলেন। সেচদপ্তরের বসিরহাট ডিভিশনের মধ্যে ৮৫৮ কিমি নদীবাঁধ রয়েছে। তারমধ্যে মাত্র ৪৮ কিমি নদীবাঁধ বাঁধানো রয়েছে। বুলবুলের জেরে বেশ কয়েক কিলোমিটার নদীবাঁধ ক্ষতি হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা সারাই করার কথা বলে হয়েছে।