কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এসটিএফের অফিসারদের কাছে খবর ছিল, বন্দর এলাকায় অসম থেকে গাঁজা ঢুকছে। এখান থেকে তা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কথা। সেইমতো খোঁজখবর শুরু করেন তাঁরা। জানা যায়, একটি গাড়িতে করে এই নিষিদ্ধ মাদক নিয়ে যাওয়া হবে। তার নম্বর হাতে আসে অফিসারদের। এরপরই সোমবার রাতে বন্দর এলাকায় যায় এসটিএফের একটি টিম। সেখানে একটি গাড়িকে আটকানো হয়। এরাজ্যের রেজিস্ট্রেটশন নম্বর থাকা ওই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেই সবুজ প্যাকেটে মোড়া লুকনো মাদকের হদিশ মেলে। উদ্ধার হয় ১৩৩ কেজি গাঁজা। গ্রেপ্তার করা হয় ধনঞ্জয় দেবনাথ ও বিল্পব দেবনাথ নামে দু’জনকে। তারা অসমের নওগাঁও জেলার হোজাইয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, দু’জনেই মাদক কারবারে যুক্ত। তাদের সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতে এই কারবারে জড়িত শীর্ষ মাথাদের যোগ রয়েছে। মণিপুর থেকে এই গাঁজা প্রথমে আনা হয় অসমে। সেখান থেকে শিলিগুড়ি হয়ে সড়কপথে তা কলকাতায় ঢোকে। প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দারা জানতে পারছেন, এই মাদক চক্রের সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। তাদের মদতেই গাঁজা, হেরোইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ মাদক যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই কারবার থেকে আসা টাকায় কেনা হচ্ছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক।
ধৃতদের জেরা করে এসটিএফের অফিসাররা জানতে পারছেন, সম্প্রতি গাঁজার চাহিদা বেড়েছে কলকাতায়। যে কারণে উত্তর পূর্ব ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা আসতে শুরু করেছে। শহরের একাধিক ব্যক্তি এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাদের কাছেই এই মাদক প্রথমে আসছে। অসম থেকে যে সমস্ত লরি আসছে, তাদের চালকদের হাতে গাঁজা ভর্তি ব্যাগ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কলকাতায় আসার পর তা খালাস করে নিচ্ছে এখানে এই কারবারে যুক্ত ব্যক্তিরা। এরপর কুরিয়র মারফত তা পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে উত্তর পূর্ব ভারতে মাদক কারবারে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে অর্ডার যাচ্ছে। সেইমতো মাল সরবরাহ করা হচ্ছে। পড়ুয়াদের একাংশ নিয়মিতভাবে তাদের কাছ থেকে এই মাদক কিনছে বলে খবর পুলিসের কাছে। এমনকী তাদের মধ্যে কেউ আবার কুরিয়র হিসেবে কাজ করছে বলে জানতে পারছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এজন্য ভালো টাকার কমিশনও মিলছে।