কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে রাজ্যজুড়ে শোরগোল ফেলা এই ঘটনার তদন্তে গঠিত ন্যাশনালের চার সদস্যের কমিটি’র রিপোর্ট মঙ্গলবার জমা পড়ল স্বাস্থ্যভবনে। সূত্রের খবর, রিপোর্টে ঘটনাটি আত্মহননের বলেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। যদিও সমাপ্তি কখনই আত্মহত্যা করতে পারেন না বলে এদিনও জোরের সঙ্গে বলেছেন বাঁকুড়ার কোতলপুরের তাজপুর গ্রামের বাসিন্দারা। মৃত নার্সিং ছাত্রীর পরিচিত মহলের দাবি, শান্ত স্বভাবের মেয়েটি দিনভর পড়ার বইয়ে মুখ গুঁজে থাকত। তাছাড়া কিছু বুঝত না। ও কী আত্মহত্যা করবে? আত্মহননের বিষয়টি কোনও সমীকরণেই মেলাতে পারছেন না তাঁর খুব কাছের মানুষজনও।
এ ব্যাপারে তনুশ্রী রুইদাস নামে সমাপ্তির প্রতিবেশী বলেন, ও আমার থেকে মাত্র কয়েক বছরের ছোট হলেও ছেলেবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছি। সমাপ্তি কখনই আত্মহত্যা করতে পারে না। পুজোর ছুটিতে অধিকাংশ সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি। পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরে ওর পিছিয়ে আসা বা আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া অসম্ভব। কারণ, ও যথেষ্ট মেধাবী ছিল।
শুক্রবার রাতেও রুটিন মেনে বাড়িতে ফোন করে বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন সমাপ্তি। মৃতার বাবা সুকুমারবাবু বলেন, রোজ রাতে মেয়ে একবার করে বাড়িতে ফোন করত। বেশিরভাগ সময় আমার সঙ্গে কথা হত। ওই রাতে ফোনে কথা বলার সময় কিছু অস্বাভাবিক লাগেনি। কিন্তু, তার ক’ঘণ্টা পর কীভাবে কী হল, কিছুই মেলাতে পারছি না। সমাপ্তির আত্মীয়া সাগরিকা রুইদাস বলেন, সম্পর্কে আমি ওর ঠাকুরমা হই। আমাকে ‘ছোট ঠাকুরমা’ বলে ডাকত। ছোট থেকে আমাদের ঘরে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছে ও। আমরাই একপ্রকার কোলেপিঠে ওকে বড় করেছি। পড়াশোনার বাইরে অন্য কিছু ভাবার সময় ছিল না ওর। যে মেয়েটা দড়ি দিয়ে একটা গিট বাঁধতে পারত না, তাঁর পক্ষে গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করা? অসম্ভব— দাবি সাগরিকাদেবীর।