গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া হয় যে, সত্যিই ধর্ষণ হয়নি, তাহলে নির্যাতিতার পোশাকে রক্তের দাগ এল কোথা থেকে? লালবাজারের এক সূত্র জানাচ্ছে, সেই রাতে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার কাঠিপোতায় পৌঁছনোর পর ট্যাক্সিচালক উত্তম রাম ওই মহিলাকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বললে, তিনি নামতে অস্বীকার করেন। এই সময় দু’জনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এমনকী ওই সময় মহিলাকে ঘুসিও মারেন ট্যাক্সিচালক। পরে চালক ধাক্কা দিয়ে ট্যাক্সি থেকে ফেলে দেয় তাঁকে। এতে নাক, দুই হাঁটুতে আঘাত লাগে তাঁর। ফলে নাক দিয়ে রক্ত ঝরে। তদন্তকারীদের দাবি, কারও নাক থেকে রক্ত ঝরলে পোশাকের যে স্থানে রক্তের দাগ থাকার কথা, নির্যাতিতার পোশাকেও ঠিক সেই জায়গাতেই রক্তের দাগ মিলেছে।
এই ‘গণধর্ষণ কাণ্ড’ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গত ১৫ নভেম্বর রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমাদের কাছে যে রিপোর্ট আছে তার ভিত্তিতে বলছি, ধর্ষণের ঘটনা এখনও প্রমাণিত হয়নি। মেডিক্যাল রিপোর্ট উদ্ধৃত করে লীনাদেবী বলেন, মহিলার গোপনাঙ্গে রক্ত বা ক্ষত কিছুই মেলেনি। আরও দুটি রিপোর্ট পেলে, নিশ্চিত করে বলতে পারব ধর্ষণ হয়েছে কি না। আবার, ঘটনার রাতে নরেন্দ্রপুর থানায় নির্যাতিতা পুলিসকে জানিয়েছিলেন, ‘দুটো লোক গায়ে হাত দিয়ে আমার সাথে অসভ্যতা করেছে।’ এই বক্তব্য ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। মহিলার ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নরেন্দ্রপুর থানা শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের করে।
এদিকে, ধৃত ট্যাক্সিচালক উত্তম রামকে নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনা পুনর্নির্মাণ করেন গোয়েন্দারা। এর মাধ্যমে গোয়েন্দারা মূলত জানার চেষ্টা করছেন, কাঠিপোতায় ঘটনার সময় দ্বিতীয় কোনও দুষ্কৃতী উপস্থিত ছিল কি না? তবে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে উত্তম রাম ট্যাক্সিতে একাই ছিল। তার পাশেই অর্থাৎ চালকের পাশের সিটেই বসেছিলেন নির্যাতিতা। পাশাপাশি, গোয়েন্দা জানার চেষ্টা করছেন কাঠিপোতায় সত্যিই ধর্ষণের মতো অপরাধ হয়েছিল কি না? আজ মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা নির্যাতিতার। নির্যাতিতা মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় আদালত মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।