দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এদিন তন্তকারীরা ধৃতকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিস ধৃতকে জেরা করে জেনেছে, অভিযোগকারিণী সেদিন রাতে ই এম বাইপাসে দাঁড়িয়ে একাধিক গাড়িকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন। পুলিস আগেই জানিয়েছিল, ওই মহিলা সেদিন পঞ্চসায়র হোম থেকে পালিয়ে ই এম বাইপাসে চলে আসেন। প্রথমে কমিন্ট পার্কের কাছে একটি ট্যাক্সিতে ওঠেন। কিছুক্ষণ পর ওই ট্যাক্সিচালককে তিনি বলেন, তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যেতে। এর জন্য তিনি চালকের পাশে আসনে বসবেন বলে জানান। কিন্তু চালক বুঝতে পারেন, মহিলার মধ্যে কিছু অস্বাভাবিকতা রয়েছে। তিনি পিয়ারলেস হাসপাতালের কাছে অভিযোগাকরিণীকে নামিয়ে দেন।
এরপর বাইপাস ধরে কিছুটা হেঁটে যাওয়ার পর অজয়নগরের দিকে যাওয়া একটি ট্যাক্সিকে হাত দেখান মহিলা। সেই ট্যাক্সিরই চালক এই উত্তম রাম। মহিলা ট্যাক্সিতে উঠলে তাঁকে নিয়ে কাঠিপোতার দিকে যেতে থাকে সে। অন্ধকারের মধ্যে গাড়িতে মহিলাকে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। এরপর উত্তম তাঁকে নরেন্দ্রপুরের একটি জায়গায় নামিয়ে দেয়। তখনই তার নজরে আসে, ওই মহিলার নাক থেকে রক্ত পড়ছে। উত্তম ভয়ে পালিয়ে যায়। তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ওই মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় কোনওরকমে স্থানীয় একটি গ্রামে যান। সেখানকার বাসিন্দারা তাঁকে নরেন্দ্রপুর থানায় নিয়ে যান। সেখানে ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলে তাঁকে একটি নতুন পোশাক দেওয়া হয়। তাঁকে সোনারপুরের একটি হোমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে একটি লাল রঙের পোশাক দেওয়া হয়। তবে সেখান থেকেও পালিয়ে যান তিনি। তারপর গড়িয়াহাটে আত্মীয়ের বাড়ি হয়ে বেহালায় পৌঁছন। তিনি যে হলুদ রঙের পোশাক পরেছিলেন, সেটি একটি প্লাস্টিক ব্যাগে রেখে দেন। যা পরে পুলিসকে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মহিলার তিনটি পোশাকই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। এদিকে, পুলিস জানিয়েছে, এখনও প্রথম ট্যাক্সি চালকের খোঁজ চালানো হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
তদন্তকারীদের কথায়, রহস্য আরও বেড়েছে ওই রাতে নরেন্দ্রপুর থানায় নির্যাতিতার করা অভিযোগ নিয়ে। এই অভিযোগের কথা কলকাতা পুলিস প্রথমে জানতেই পারেনি। পরে বারুইপুর পুলিস জেলার আধিকারিকদের সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।