দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
কলকাতার সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ বাড়াতে সোনারপুরের কামালগাজি সেতু থেকে বারুইপুরের শাসন পর্যন্ত বাইপাস করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেই রাস্তা ভেঙেচুরে একসার। মাঝে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে আরও দফারফা হয়েছে। পুরো রাস্তায় পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে কঙ্কালসার চেহারা নিয়েছে। গাড়ি চললে ধুলোর ঝড় উঠছে। বাইপাস দিয়ে যাতায়াতকারী বহু মানুষ সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তীকে ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইট ছাড়াও মেল করে বিষয়টি জানান। কেউ বলেছেন, পুজোর আগে থেকে রাস্তা খারাপ। কবে ঠিক হবে? ভুলভাল গান না করে কিছু কাজ করুন। কেউ বলেছেন, মিমি দিদি রাস্তাটা খুব খারাপ। সেই কারণে আমার মেয়ে হিল পড়ে বেরতে পারছে না। কেউ লিখেছেন, দিদি সোনারপুর-কামালগাজি রোডে শুটিং করলে পারতেন। খুব ভালো ভিউ পাওয়া যেত। তার পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদ কেএমডিএ-র চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে গত ১৩ নভেম্বর চিঠি দেন। তাতে তিনি লেখেন, কামালগাজি থেকে বারুইপুর পর্যন্ত বাইপাসের অবস্থা ভয়ঙ্কর খারাপ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হচ্ছে না। বড় বড় গর্ত হয়ে চলাচলের অনুপযুক্ত। এই কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন কাজে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ যত শীঘ্র সম্ভব, সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজার হাজার মানুষের কথা ভেবে বাইপাস মেরামত করা হোক।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাস্তার বিষয়ে সংসদ সদস্য যা বলছেন, তা নতুন নয়। পুজোর আগেই বিধানসভার স্পিকার ও বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মৌখিক ও লিখিতভাবে অবগত করেছেন। বলা যায়, স্পিকারের কথাতেই কেএমডিএ ডিপিআর চূড়ান্ত করেছে। তা এখন অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায়, শীঘ্রই হয়ে যাবে। সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী বলেন, এই প্রথম যাদবপুর থেকে নির্বাচিত হয়েছি। স্বাভাবিকভাবে আমার আগে কে কোথায় কী চিঠি দিয়েছে বা কাজ হয়েছে তা জানা নেই। তাই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে যা অভিযোগ মানুষ জানায়, তা নিয়ে সব জায়গাতে চিঠি দিই। সাংসদ তহবিলে যা টাকা পাই, সেই অনুসারে কাজ করছি। সংসদ সদস্য অবশ্য এ নিয়ে কোনও বিতর্ক হোক চান না। তিনি বলেন, দলের একজন কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই।