কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
গত দু’দিনে উদ্বোধনের ধুমকে কেন্দ্র করে একটু একটু করে পুজোর উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছিল বাঁশবেড়িয়ায়। রবিবার পুজোর প্রথম দিনই তা তুঙ্গে ওঠে। যা উদ্যোক্তাদের মুখের চওড়া হাসি এনে দিয়েছে। এদিন সনাতন পুজো মণ্ডপগুলি থেকে নানান থিমের পুজোকে কেন্দ্র করে ভিড় জলস্রোতের মতো ওঠানামা করেছে। কার্তিক পুজোর মরশুমে নটরাজ, শিব সহ নানান দেবদেবীর পুজো মণ্ডপগুলিও থিমের সাজে সেজে হাজির হয়েছে। ফলে যেমন ভিড় ছিল কাঁসারি পাড়ায় জ্যাংরা কার্তিকের পুজোকে কেন্দ্র করে তেমনই ভিড় দেখা গিয়েছে কিশোর বাহিনী ক্লাবের নটরাজ পুজোর আয়োজনকে কেন্দ্র করে। কিশোরবাহিনীর পুজো মণ্ডপ পুরোটাই এবারের আলোর সাজে সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে। প্রায় আলোর আস্তরণে ঢেকে দেওয়া হয়েছে আকাশ। মোহময় এই আলোকসজ্জার মুগ্ধতার সঙ্গে আমজনতা আস্বাদ নিয়েছে জামাই কার্তিকের পুজোরও। গ্রামীণ বিয়েবাড়ির আদলে তৈরি করা মণ্ডপ আর ফুলের সজ্জায় থাকা জামাইবেশী কার্তিককে দেখতে রথতলা ইয়ুথ অ্যাসেসিয়েশানের মণ্ডপে রাত হওয়ার আগেই থইথই ভিড় দেখা গিয়েছে। মণ্ডপসজ্জায় এবার চমক দিয়েছে বাঁশবেড়িয়ার রামকৃষ্ণ সংঘ। সপ্তসাগর পাড়ের জার্মানিকে তারা তুলে এনেছেন মণ্ডপে। এই ক্লাব প্রাঙ্গনে মাথা তুলেছে জার্মানির সংসদ ভবন। নিপুণ হাতের কাজে কাঠ, বাঁশ, প্লাইউড দিয়ে সাজানো মণ্ডপ দেখতেও হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল আমজনতা। ক্লাবকর্তা বৈদ্যনাথ সাহা বলে, প্রথমদিনই মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে আমরা আপ্লুত। একইভাবে নজর কেড়ে নিয়েছে শিবদূর্গা বয়েজ ক্লাব। অযোধ্যায় এখনও না তৈরি হওয়া রামমন্দির দেখতেও এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না বাঁশবেড়িয়ার এই পুজো মণ্ডপে। শুধুই সনাতন কার্তিকের আদল দেখতে মানুষের ভিড় ছিল তাই নয়। থিমের কল্যাণে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেওয়া কার্তিকের অভিনব রূপ দেখতেও আমজনতা ভিড় জমিয়েছিলেন অনির্বাণ ক্লাবের পুজো মণ্ডপে। দেব সেনাপতি এখানে গাছের রূপ ধরে হাজির হয়েছেন।
শুধু বাঁশবেড়িয়া নয়, এদিন ভিড় দেখা গিয়েছে চুঁচুড়ার প্রতাপপুর ইউনিক ক্লাবে। এখানে কার্তিকের নাম লড়াই কার্তিক। ৫৫বছরে পা দেওয়া এই পুজো মণ্ডপে সনাতন দেব সেনাপতি সাবেক ঐতিহ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। ক্লাবকর্তা সমীর সরকার বলেন, একে রবিবার তার উপরে পুজো মরশুম। তার জেরে প্রথমদিনই জনস্রোত দেখা গিয়েছে কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে। সবমিলিয়ে পুজোর প্রথম দিনই ভিড়ের রেকর্ড করার দাবি পেশ করে রাখল বাঁশবেড়িয়া। কিছুটা চুঁচুড়াও।