গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের কথায়, আমি বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখেছি, কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এতদিন বিভাগটিকে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। বিনোদন কর আদায়ের ক্ষেত্রে পুর আইনে যা যা বলার আছে, সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে কতটা কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সেটাই দেখার জন্য আমি পুর কমিশনারকে বলেছি। রেস্তরাঁ, ব্যাঙ্কোয়েট বা অন্যান্য অনুষ্ঠান বাড়িগুলির কর্তৃপক্ষ এবার থেকে ‘বিনোদন কর ক্লিয়ারেন্স’ না নিলে তাদের কোনও অনুষ্ঠান করার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে, তাদের বলে দেওয়া হবে, তারা যেন বিনোদন ফি’এর টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় হয়। কারণ বিনোদন কর আদায়ে আরও কোনওরকম ছাড় নয়। বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীনবাবু এও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কার কাছ থেকে কত টাকা বকেয়া রয়েছে, তার একটি তালিকা তৈরি করা হবে। এরপর আইনি নোটিসের সঙ্গেই সেই অর্থ চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে। টাকা না মেটানো হলে হলে কোনও অনুষ্ঠানের ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।
সম্প্রতি সিএজি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৬-১৭, এই তিন অর্থবর্ষে বিনোদন করের বকেয়া টাকার হিসেব এবং ডিমান্ড নোটিস মুছে ফেলায় পুর কোষাগারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বকেয়ার হিসেব এবং ডিমান্ড নোটিস (ব্যাড ডিমান্ড) ঠিকমতো করদাতাদের কাছে না পাঠানোয় প্রায় ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৭ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার ডিমান্ড নোটিস কোনও কারণ ছাড়াই হিসেবের খাতা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে, ১০ বছর বা তার থেকে বেশি সময় ধরে বকেয়া থাকা ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা আদায় করতে পারেনি পুর প্রশাসন। অতীনবাবু বিভাগীয় কর্তা-আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্বীকার করে নেন, বিভাগের রাজস্ব আদায়ের অবস্থা ভালো নয়। কর আদায়ের ক্ষেত্রে যে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তা দেওয়া হয়নি। তিনি পুর কমিশনারকে বলেন, পুর নথিতেই বলা রয়েছে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কত টাকা বিনোদন কর বাবদ আদায় করতে হবে। আইন খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। পুর আইনের মধ্যে থেকেই অতীনবাবু কমিশনারকে নয়া নিয়মকানুন তৈরি করতে নির্দেশ দেন।