পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন শহরের প্রায় সিংহভাগ তৃণমূল কাউন্সিলার উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। বর্তমানে কলকাতায় শাসকদলের কাউন্সিলারের সংখ্যা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে ১২৩ জন। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ডাকা হয়নি বলে দলীয় সূত্রে খবর। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, শোভনবাবু কোন দলে রয়েছেন, সেটা আগে স্পষ্ট করুন। তারপরই তাঁকে এধরনের অনুষ্ঠানে ডাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিনের বৈঠকে ডেঙ্গু প্রসঙ্গও উঠে আসে। বিগত দিনে যে বার্তা বারবার দিয়ে এসেছেন মেয়র। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়ায় পাড়ায় ডেঙ্গু সচেতনতা যাত্রা করতে হবে। কাউন্সিলারদের আরও বেশি করে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এক মেয়র পারিষদের কথায়, ডেঙ্গু যেভাবে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে, তাকে দ্রুত ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে নাগরিকদের মধ্যে চরম বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। এতে আগামী পুরভোটেও বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই কলকাতার মেয়র বারবার কাউন্সিলারদের সক্রিয় হতে বলছেন। এদিন সেই একই পথে হেঁটেই মেয়র বলেন, সচেতনতা কর্মসূচি নিতে হবে। কাউন্সিলারদের ভূমিকাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কাউন্সিলারদের রাস্তায় নেমে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
গত লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, শহরের একাধিক বস্তি এলাকা শাসকদলের পক্ষেই গিয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু বস্তি বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। সেই বস্তির ভোটকে পাখির চোখ করছে তৃণমূল। এদিন সেই বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়র বস্তি উন্নয়নের দিকে নজর দিতে বলেছেন। তিনি কাউন্সিলারদের বলে দিয়েছেন, বস্তি উন্নয়নে যেন কোনও খামতি না থাকে। পর্যাপ্ত তহবিলের অভাব হবে না। বস্তির আলো, জল, নিকাশি সহ সব পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে দিতে হবে। একইসঙ্গে মেয়র জানিয়ে দেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বকেয়া থাকা কাজগুলি ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে। গত বছর প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ফেরত গিয়েছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে মেয়র চান না, তা তিরি পরিষ্কার করে দিয়েছেন। বলেন, টাকা পাবেন। কিন্তু কাজ যেন সব শেষ হয়।