রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই পূর্ব মেদিনীপুরে একটি খালে এরকমই শুশুক ঢুকে পড়েছিল। সেই শুশুকটি মৃত অবস্থায় খালের জল থেকে উদ্ধার হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পূর্ব মেদিনীপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে হাওড়ায় না হয়, তাই তাঁরা বনদপ্তরকে খবর দেন। বন দপ্তরের কর্মীরা গিয়ে সেটি উদ্ধার করে রূপনারায়ণ নদে ছেড়ে দেন। বাসিন্দারা সচেতনভাবে বন্যপ্রাণীটির কোনও ক্ষতি না করে তাদের খবর দেওয়ায় বনদপ্তরও সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
বর্ষার সময় মিষ্টি জলের টানে নদী থেকে খালে, এমনকী বিভিন্ন ছোট ছোট খাঁড়িতে শুশুক ঢুকে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। বনদপ্তরের হিসেব বলছে, প্রতিবছরই বর্ষার পর বিভিন্ন জায়গায় খালের জলে শুশুক ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে। বনদপ্তরকে খবর দেওয়া হলে, সেটিকে উদ্ধার করে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণবঙ্গে গঙ্গা ছাড়াও দামোদর, রূপনারায়ণ, হলদি সহ একাধিক নদীতেই প্রচুর পরিমাণে শুশুক থাকে। এরা চোখে দেখতে পায় না। জলে এ’প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে শব্দতরঙ্গই এদের প্রধান ভরসা। বর্ষার সময় বিভিন্ন খাল, খাঁড়িতে মিষ্টি জল বাড়লে, তার টানে এরা বিভিন্ন সময় এখানে ঢুকে পড়ে। অনেক সময় আবার প্রবল কোনও ঝড়ের ঘটনা ঘটলে নদী-খালের জল-জীবনে কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে যায়। সেই সময় এরা শব্দতরঙ্গ সঠিকভাবে নির্বাচন করতে না পেরে, দিকভ্রষ্ট হয়ে অন্যদিকে চলে যায়।
সম্প্রতি বুলবুল ঝড় গিয়েছে। সেই কারণে গত সপ্তাহে বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ফলে খাল-খাঁড়ি সর্বত্রই মিষ্টি জল প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় হয় সেই জলের টানে অথবা দিকভ্রষ্ট হয়ে দুটি ক্ষেত্রেই শুশুকগুলি খালে ঢুকে পড়েছিল বলে মনে করছেন বনদপ্তরের কর্তারাও। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, পূর্ব মেদিনীপুরের ঘটনায় শুশুকটিকে উদ্ধার করে নদীতে ছাড়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, সেটি এক খাল থেকে অন্য খালে চলে যাওয়ায় এবং শুক্রবার আলো কমে যাওয়ায়, সেখানে আর উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব হয়নি। এদিন সকাল থেকেই ফের উদ্ধার কাজ করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই সেটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাই হাওড়ার খবর যখন বনদপ্তরের কাছে আসে, কেউ বিলম্ব করেনি। সঙ্গে সঙ্গে শুশুকটিকে উদ্ধার করে বড় নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।