পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাঁশবেড়িয়া, চুঁচুড়ায় যেমন প্রচুর কার্তিক পুজো হয় তেমনি নামের বাহারও চমকে দেওয়ার মতো। পুরাণের কার্তিক এখানে প্রায় মানবিক চেহারায় ধরা দিয়েছে। তাই জামাইয়ের বেশে কার্তিক পুজোর রেওয়াজ চলে আসছে ৫০ বছর ধরে। বাঁশবেড়িয়ার রথতলা ইউথ অ্যাসোসিয়েশান জামাই কার্তিকের পুজো করে। এবার ক্লাবকর্তারা গোটা মণ্ডপ জুড়ে একটি গ্রামীণ বিয়েবাড়ির আদল সাজিয়ে তুলেছে। মণ্ডপে ঢুকতে গেলেই দেখা যাবে নহবত বাজছে। একটু এগিয়ে গেলেই দেখা যাবে, বিয়ে বাড়ির যাবতীয় তৎপরতাকে মাটির মডেলে সাজিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। আর এরই মধ্যে কার্তিকঠাকুরকে রাখা হয়েছে ফুলের শয্যায়। অবশ্যই জামাইয়ের বেশে। গোটা মণ্ডপটাই তৈরি হয়েছে, মাটি, খড়, বাঁশের মতো উপকরণ দিয়ে। ক্লাবকর্তা সুব্রত বণিক বলেন, আমাদের জামাই কার্তিকের পুজো পঞ্চাশ বছরে পা দিয়েছে। আমরা তাই বাড়তি জৌলুস দেখানোতে জোর দিয়েছে। সমস্ত আয়োজনকে জীবন্ত করে তোলার চেষ্টা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দর্শকদের সমাদর পাচ্ছি।
৪৪ বছরে পা দেওয়া বাঁশবেড়িয়ার অনির্বাণ ক্লাব পুজোর আয়োজনে সমাজ সচেতনতার পরিচয় দিতে চাইছে। উদ্যোক্তাদের এবারের থিম আর বিলম্ব নয়। কীসের বিলম্ব? পরিবেশ সচেতনতার। পৃথিবী জুড়ে গাছ কাটা চলছে অবিরাম, জলের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ না করায় ভবিষ্যৎ শুখা পৃথিবীর কথা কথা ভেবেই বার্তা— আর বিলম্ব নয়। মাটি, খড় সহ নানা উপাদানের ব্যবহারে মণ্ডপসজ্জা করা হয়েছে। দেব সেনাপতি কার্তিক এখানে গাছের চেহারায় হাজির হয়েছেন। গোটা মণ্ডপ জুড়ে জলের সংকট আর গাছের যন্ত্রণার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। উদ্যোক্তা সুশান্ত সরকার বলেন, খুব সংকটময় ভবিষ্যতের দিকে আমরা যাচ্ছি। পুজোকে সামনে রেখে সেই বার্তাই আমরা মানুষকে দিতে চেয়েছি। মণ্ডপের বাইরে অংশটি একটি কাল্পনিক মন্দিরের আদলে গড়া হয়েছে।
বাঁশবেড়িয়াতে কার্তিক পুজোর বৈচিত্র আছে। এখানে প্রায় সকল দেবদেবীর পুজোই হয় এবং বিস্ময়করভাবে তা নিয়েও থিমের লড়াই চলে। আর এই লড়াইয়ের ময়দানে গত ৪৯ বছর ধরে রয়েছে শিবদুর্গা বয়েজ ক্লাব। পঞ্চাশ বছরে পা দেওয়া এই ক্লাবের এবারের আয়োজন সতীর দেহত্যাগ। চমক আরও আছে। অযোধ্যার প্রস্তাবিত রামমন্দিরের আদলে এখানে মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে। আলোর বাহারে ইতিমধ্যেই তার দর্শকদের আকর্ষণ করতে শুরু করেছে। ক্লাবকর্তা মৃত্যুঞ্জয় প্রামাণিক বলেন, সতীর দেহত্যাগের মুহূর্তই আমাদের মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরা হয়েছে। আর মণ্ডপটি এখনও তৈরি না হওয়া অযোধ্যার রামমন্দির।