গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এরই মাঝে গোসাবার সাতজেলিয়ায় বিজেপির একটি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। বিজেপী কর্মীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমা এলাকাতেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এদিন বিক্ষোভের মুখে পড়ে।
পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এদিন আসেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী দেবশ্রীদেবী। গোসাবা ব্লকের সাতজেলিয়া ফেরিঘাটে নামতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। যে পথ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাওয়ার কথা ছিল, তা আটকে দেয় শাসকদলের কর্মী সমর্থকরা। মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীরাও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি বাধে। এতে উভয়দলেরই কয়েকজন জলে পড়ে যায়। তৃণমূল কর্মীদের আটকানো পথের পরিবর্তে উল্টোদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিদর্শনের জন্য এগতে থাকেন। এরই মাঝে খবর আসে সাতজেলিয়ার বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে। বিজেপি কর্মী-নেতাদের মারধর করা হয়েছে।
এই খবর পেয়েই দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছন দেবশ্রীদেবী। সেখানে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। মন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপির ছিলেন পূর্ব দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি সুনীপ দাস। দেবশ্রীদেবী বলেন, আমাদের দলের নেতাদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। আগেভাগে প্রশাসনকে জানিয়ে এখানে আমি এসেছিলাম দুর্গত, পীড়িত মানুষদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। তাঁদের দুর্দশার কথা শুনতে। এখানকার পরিস্থিতি দেখে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট জমা দেব। কিন্তু, তৃণমূল তা শুনতে দিচ্ছে না। ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল। গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, আমাদের দলের কেউ বিক্ষোভ দেখায়নি। এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এদিন ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি এলাকা পরিদর্শন করে। ওই প্রতিনিধিদলও বিক্ষোভের মুখে পড়ে। সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে তিনি এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। বুলবুল বিধ্বস্ত উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালির হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ এলাকা পরির্দশনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পাঁচ সদস্যর একটি প্রতিনিধিদল আসে। প্রথমে ওই প্রতিনিধিদল বসিরহাটের মহকুমা শাসক বিবেক ভাসমি সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যায় দলটি। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিনিধিদলের কেউ কথা বলছেন না। গাড়িতে চেপে এলাকা ঘুরছেন। কিছু জিজ্ঞাসা করছেন না। দলের অন্যতম সদস্য কৃষ্ণবাহাদুর সিং বলেন, এলাকা পরিদর্শনের পর রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।