পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও গোটা পৃথিবী জুড়ে আবহাওয়ার যে বিভিন্ন পরিবর্তন হচ্ছে, সেবিষয়ে আইপিসিসি’র রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্ট নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন রাজ্য, দেশ তথা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা। আইপিসিসি রিপোর্টের অন্যতম লেখক তথা অধ্যাপিকা জয়শ্রী রায় বলেন, ম্যানগ্রোভের মাধ্যমে বিপর্যয় সামলানোর উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি সম্ভব। সুন্দরবন তার প্রকৃত উদাহরণ। তাই ম্যানগ্রোভ অরণ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, বুলবুলের সময় যে এলাকায় (বকখালি, পাথরপ্রতিমা, সাগরদ্বীপ) ম্যানগ্রোভের ঢাল যত কম, সেখানেই ক্ষয়ক্ষতি মারাত্মক আকার নিয়েছে। তাঁর মতে, জলবায়ু বদলের নিরিখে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ (পশ্চিমবঙ্গ যার অন্তর্গত) বিপজ্জনক অবস্থায় পড়তে পারে। সেই সঙ্গে এরকম ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা থেকে গ্রাম-শহরকে রক্ষা করতে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের প্রাচীর গড়ে তোলাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপই হবে।
অন্যদিকে, পরিবেশের স্বার্থে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়ছে। এবিষয়ে জয়শ্রীদেবী বলেন, বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বাড়লে গাড়ির ধোঁয়া কমবে কিন্তু বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। তাই কয়লা বেশি করে পোড়ানো হবে। তাঁর কথায়, কয়লা কোম্পানির লাভের টাকা গঙ্গা সাফাইয়ে না-ঢেলে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনে লাগানো উচিত।